খাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু চড়ানো আর ঘাস খাওয়া নিয়ে সামান্য ঝগড়া শেষে রক্তারক্তি! সালিশের নামে বৈঠক বসেছিল, কিন্তু শেষ হলো মারামারি আর হতাহতের ঘটনায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রামগড় পৌরসভার তৈচালাপাড়ায় এই সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত আর সাতজন আহত হয়েছেন। নিহত আবুল কালাম আজাদ (৫৫) পেশায় কাঠ মিস্ত্রি ছিলেন, শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। আহতদের মধ্যে শাহাদাত হোসেনের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ—পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে!
ঘটনার সূত্রপাত গরু চড়ানো নিয়ে সাদ্দাম হোসেন ও মর্তুজা আলমের মধ্যে বিবাদ থেকে। পরে স্থানীয় নেতারা সালিশে বসেন, কিন্তু কথা কাটাকাটি বাড়তেই এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। সাবেক কাউন্সিলর রহিমুল্লাহর ছেলে নুরুল আলম আরিফের বক্তব্যের প্রতিবাদে সাদ্দামের ভাই শেফায়েত উল্লাহ তর্ক জুড়ে দেন। এরপরই দু’পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিসোটা, এমনকি ধারালো অস্ত্রও চলে বলে স্থানীয়রা জানান।
আহতদের মধ্যে শাহাদাত, তার ভাই শাহীন ও শেফায়েত, আরিফ, তার ভাই আফসার, মা আমেনা বেগম এবং নুরুল আলম খোকনকে প্রথমে রামগড় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থা গুরুতর দেখে আবুল কালাম, শাহাদাত ও আরও একজনের চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করা হয়। সেখানে রাতেই আবুল কালামের মৃত্যু হয়।
রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এখনও কেউ মামলা করেনি। নিহতের লাশ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এমন ছোটখাটো বিষয়ে রক্তপাত কেন? স্থানীয়রা বলছেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতা, রাজনৈতিক প্রভাব আর সামাজিক নেতাদের হস্তক্ষেপ—এসব মিলেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। গরু আর ঘাসের বিষয়টা শুধু ফাঁস ছিল, আসলে জমি-জমার দ্বন্দ্বই মূল কারণ।
#রামগড়_সংঘর্ষ #খাগড়াছড়ি #গরু_ঘাস_বিবাদ #সামাজিক_সালিশ #হতাহত


