চট্টগ্রামের পরিবেশ সচেতন নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন সংগঠন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগের তীব্র বিরোধিতা করেছে। গতকাল কর্ণফুলী মইজ্যার্টে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এডিবির ৫৮তম বার্ষিক সভার আগেই জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানান। আইএসডিই বাংলাদেশ, ক্লিন এবং বিডাব্লিউজিইডি-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে পরিবেশবাদীরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এডিবির বর্তমান বিনিয়োগ নীতি জলবায়ু সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।

ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, "এডিবি বাংলাদেশে ২৮৮৪.৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৪.৮৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যার ৮২.৯% গেছে জীবাশ্ম জ্বালানিতে, মাত্র ২.৫৫% সৌরশক্তিতে। অথচ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রতি মেগাওয়াটে মাত্র ০.৫১ মিলিয়ন ডলার, যা জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় অনেক কম।"

চট্টগ্রাম ফোরামের ওসমান জাহাঙ্গীর উদাহরণ টেনে বলেন, "খুলনার ১৫০ মেগাওয়াট গ্যাস টারবাইন প্রকল্পকে ২২৫ মেগাওয়াটে উন্নীত করতে এডিবি অতিরিক্ত ১০৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু ১১ বছরে সরকারকে ১,৮২৪ কোটি টাকা খরচ করেও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়নি। রূপসার ৮০০ মেগাওয়াট এলএনজি প্রকল্পও একই ভাগ্যের শিকার।"

তরুণ পরিবেশকর্মী সিদরতুল মুনতাহা জোর দিয়ে বলেন, "বিশ্ব যখন নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে ঝুঁকছে, এডিবির এই বিনিয়োগ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।"

এই আন্দোলন শুধু চট্টগ্রামেই সীমাবদ্ধ নয়। এডিবির বার্ষিক সভাকে সামনে রেখে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এই প্রতিবাদ আরও বিস্তৃত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তাদের মূল দাবি - এডিবি যেন অবিলম্বে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়ায়।

#এডিবি_বিনিয়োগ_বন্ধ #নবায়নযোগ্য_শক্তি #জলবায়ু_ন্যায্যতা #চট্টগ্রাম_প্রতিবাদ #টেকসই_উন্নয়ন

news