জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বব্যাপী অসহনীয় দাবদাহ-বৃষ্টিবন্যা
ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঐতিহাসিক উচ্চ তাপমাত্রার কারণে দেশটির ১৬টি নগরীতে উচ্চ সতকর্তা জারি করেছে। এসব শহরের মধ্যে রাজধানী রোম, বলোগনা ও ফ্লোরেন্সও রয়েছে।
বিশ্বের একদিকে ভারী বর্ষণ চলছে। এতে বন্যা দেখা দিয়েছে। আরেক দিকে চলছে প্রচন্ড দাবদাহ। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্য দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সারাবিশ্বেই তাপমাত্রা রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোটি কোটি মানুষ প্রচন্ড গরমে হাসফাস করছে। ইউরোপ ও জাপানে একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিজনিত হুমকির সর্বশেষ উদাহরণ এ প্রচন্ড গরম ও বৃষ্টি-বন্যা।
সোমবার ইতালির রোমের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়া (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) হতে পারে। পরের দিন মঙ্গলবার তা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এর আগে, ২০০৭ সালে রোমের তাপমাত্রা ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সিসিলি ও সারডিনা দ্বীপের তাপমাত্রা বেড়ে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এটি হলে তা হবে ইউরোপের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন ও পোলান্ডোও অসহনীয় দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে জর্দান ও লেবাননে দাবানল জ্বলছে। ইরাকের অসহনীয় গরম পড়ছে। জাপানের পূর্বাঞ্চলে রোববার ও সোমবার তাপমাত্রা হবে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা পূর্বের তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
অন্যদিকে জাপানের উত্তরাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে আকিতা শহর থেকে ৯ হাজার লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টিতে দেশটিতে ইতোমধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৌসুমি বৃষ্টি ও বন্যায় ভারতে ৯০ জন প্রাণ হারিয়েছে। যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজধানী দিল্লিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ভিয়েতনামেও বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশটিতে বন্যায় অন্তত ৩১ জন মারা গেছে।
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে টেক্সাস পর্যন্ত অসহনীয় দাবদাহ চলছে। সপ্তান্তে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছুতে পারে। সবচেয়ে মারাত্মক গরম পড়ছে অ্যারিজোন অঙ্গরাজ্যে। রাজ্যের রাজধানী ফোনিক্সে শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায় যে, গত জুন ছিল বিশ্বের সবচাইতে গরম মাস।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


