শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে কানাডা ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান এই সংকটের শেষটা ঠিক কোথায় গিয়ে পৌঁছায় তা অনুমান করা সহজ নয়। কানাডায় আগামী বছরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এতে জাস্টিন ট্রুডো যদি আবারও নির্বাচনে জেতেন, তাহলে ভারত সম্পর্কে তার অবস্থান পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে জাস্টিন ট্রুডোকে নিয়ে দুঃসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।
সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজ দল লিবারেল পার্টির আইনপ্রণেতাদের তোপের মুখে রয়েছেন ট্রুডো। দলের বেশ কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে ট্রুডোর পদত্যাগ চেয়েছেন, দিয়েছেন আল্টিমেটাম।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলের নেতারা ট্রুডোকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন যে আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে, নাহলে পার্লামেন্টে বিদ্রোহের মুখোমুখি হতে হবে।
গার্ডিয়ান বলছে, জাস্টিন ট্রুডো গতকাল অন্তত ২০ জন এমপির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেখানেই ট্রুডোকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয় যে তিনি যেন আগামী নির্বাচন আসার আগেই দলীয় প্রধানের পদ ছাড়েন। এ ছাড়া দুই ডজন এমপি এক চিঠিতে আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে ট্রুডোকে পদত্যাগ করার কথা বলেছেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা ৯ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়ে জাস্টিন ট্রুডো তার জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে হারিয়েছেন। সেইসঙ্গে নিজ দলেই তার পদত্যাগের ডাক উঠেছে যেন আগামী নির্বাচনে একটি বিব্রতকর পরাজয় এড়ানো যায়।
দলের নেতারা আশঙ্কা করছেন, ট্রুডো পদ না ছাড়লে নির্বাচনে তাদের দল তৃতীয় অবস্থানে চলে যাবে।