এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে “সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতি” কার্যকর হবে—ছয় ঘণ্টার মধ্যে শান্তিচুক্তি প্রযোজ্য হবে, চারদিনের মধ্যে তা আনুষ্ঠানিক হবে। তবে ইরান তা ‘দাবি’ মেনে নিচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে, কেবল তখনই উত্তেজনা থাকবে না যদি ইসরায়েল “বন্দুক নিক্ষেপ বন্ধ করে।” ইসরান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, “ভোর ৪টার পর যদি ইসরায়েলের সব হামলা থামে, তাহলে ইরানও প্রতিক্রিয়া বন্ধ রাখবে।” এরপরেও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেনি।

সত্যিই শান্তিপ্রাপ্তির পথে এগোচ্ছে কি—তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইরানি মিডিয়া ও দায়িত্বশীলরা ট্রাম্পের ঘোষণা “বাংলা শুধু একটি দাবি” হিসেবে তুলে ধরছে। আইআরজিসি’ও মনে করছে এই নির্ঘণ্ট “মিথ্যা” এবং তাদের প্রতিক্রিয়া হবে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। দ্বিতীয় দিক থেকে ইসরায়েল সরকার চাইছে—আরব শান্তি অংশীদারদের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে লড়াই বন্ধের ইচ্ছা খোলাখুলিভাবে জানাবে।

গত কয়েকদিনে মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি চরমে ওঠে গেছে—ইরান কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, ট্রাম্প তা ‘খুব দুর্বল’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে সামরিক আশঙ্কা প্রকাশের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল আগেই কমেছে। অন্যদিকে ইরান ও ইসরায়েল নিজেদের বাসিন্দাদের যেসব এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেসব এলাকায় তারা সতর্কতা অবলম্বন ও স্থানান্তর নির্দেশ দিয়েছে।

মেরুদণ্ডহীন এই পরিস্থিতি না হলে—ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির একদিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন, আর ইরান উল্লেখ করেছে—এবারই প্রথম তারা শান্তিতে প্রস্তুত থাকবে ইসরায়েল বন্দুক বন্ধ করলে। তবে আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনো হয়নি, তাই পরিস্থিতি এখনো ‘শান্তি’ নয়, বরং অধরাই সংবাদ।

news