জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত টোকারা দ্বীপপুঞ্জে মাত্র দুই সপ্তাহে ৯০০-এর বেশি ভূমিকম্পে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ২১ জুন থেকে দ্বীপের আশেপাশের সমুদ্র এলাকায় একের পর এক ভূমিকম্প হচ্ছে, যার সর্বশেষটি ছিল বুধবার—মাত্রা ৫.৫। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই এবং সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি, তবুও বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে।

দ্বীপবাসীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও ঘুমহীন রাত এখন নিত্যসঙ্গী। ৫৪ বছর বয়সী চিজুকু বলেন, “আমরা সবাই ভীষণ ক্লান্ত। প্রতিটি রাতে মনে হয় মাটি কাঁপছে।” ৬০ বছর বয়সী ইসামু সাকামোটো বলেন, “ভূমিকম্প শুরু হয় একটি হালকা ঝাঁকুনির মাধ্যমে, তারপর ঘরবাড়ি দুলতে থাকে।” কিছু গেস্ট হাউজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে পর্যটকরা আসা কমান এবং ঝুঁকি না বাড়ে।

টোকারা দ্বীপপুঞ্জের ১২টি দ্বীপের মধ্যে সাতটিতে মাত্র ৭০০ মানুষ বসবাস করেন। অনেক দ্বীপেই হাসপাতাল নেই, আর রাজধানী থেকে এখানে পৌঁছাতে সময় লাগে ছয় ঘণ্টারও বেশি।

এদিকে গুজব ছড়িয়েছে ১৯৯৯ সালের এক মাঙ্গা কমিক বইয়ের ভিত্তিতে, যেখানে দাবি করা হয়েছিল ২০২৫ সালের ৫ জুলাই জাপানে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হবে। এই ভবিষ্যদ্বাণী ঘিরে আতঙ্ক বেড়েছে পর্যটকদের মধ্যে, অনেকেই তাদের ভ্রমণ বাতিল করছেন।

জাপানে ভূমিকম্প নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। তবে এবারের ধারাবাহিক কম্পন পরিস্থিতিকে বিশেষভাবে উদ্বেগজনক করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

news