জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ৬০টিরও বেশি কোম্পানির নাম উল্লেখ করেছেন, যারা ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারী-ঔপনিবেশিক প্রকল্পকে টিকিয়ে রাখার সঙ্গে যুক্ত। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সব বাণিজ্য ও আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করে “গণহত্যার অর্থনীতি” থেকে সরে আসার জন্য।

জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে আলবানিজ বলেন, “অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং ইসরায়েল আধুনিক ইতিহাসের এক নিষ্ঠুর গণহত্যার জন্য দায়ী।” তার প্রতিবেদনে অস্ত্র প্রস্তুতকারক, প্রযুক্তি কোম্পানি, ভারী যন্ত্রপাতি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা দখলদারিত্ব, বর্ণবাদ ও গণহত্যার অর্থনীতিতে সরাসরি জড়িত।

আলবানিজ জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নিপীড়নের কারণে কিছু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যাপক লাভ করেছে। তিনি বলেন, “একজন ব্যক্তি সমৃদ্ধ হয়েছে, আরেকজন নিশ্চিহ্ন। স্পষ্টতই, কারো কারো কাছে গণহত্যা লাভজনক।”

প্রতিবেদনে ফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও নজরদারি প্রযুক্তিতে যুক্ত কোম্পানিগুলির নাম উল্লেখ আছে। এছাড়া মাইক্রোসফ্ট, অ্যামাজন, আইবিএম-এর মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে, যারা ইসরায়েলের নজরদারি ব্যবস্থা সক্ষম করছে।

আলবানিজ বলছেন, “প্রতিটি রাষ্ট্র এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের উচিত এই অর্থনীতি থেকে দূরে থাকা অথবা সম্পর্ক ছিন্ন করা।”

ইসরায়েল প্রতিবেদনটিকে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর আখ্যা দিয়েছে, তবে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ফিলিস্তিনিদের প্রতি দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

news