লড়াইয়ে নেই বরিস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে কার্যত নিশ্চিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কার্যত নিশ্চিত ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। সেই জন্য সোমবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভারতের জামাইয়ের নামে সিলমোহর পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের অর্থনীতির উন্নতি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ঋষি সুনাক। তাঁর সঙ্গে ব্রিটেনের অন্তত ১৪০ জন এমপির সমর্থন রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে, ইতিহাসে প্রথমবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (British PM) পদে বসতে চলেছেন কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল, নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নিয়েছেন ঋষি ও বরিস। কিন্তু রবিবার গভীর রাতে বরিস জানিয়ে দেন, দলের কারোও সঙ্গে কোনও সমঝোতা করে নেওয়া সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন বরিস। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন ছিল আমার কাছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির বিচার করে আমার মনে হয়, সকলে একমত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়াই মঙ্গলজনক। যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন, আমি তাঁকেই সমর্থন করব। কারণ পার্লামেন্টে যদি মতবিরোধ থাকে, তাহলে দেশকে পরিচালনা করা খবই কঠিন হয়ে পড়ে।” নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে গেলে পার্লামেন্টে ভাঙন ধরা অবশ্যম্ভাবী। বরিসের মতে, দেশের উন্নতির কথা মাথায় রেখে ব্যক্তিগত ইচ্ছাকে বিসর্জন দিয়েছেন তিনি।
তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ঋষি সুনাক। তিনি বলেছেন, “ব্রিটেনের চরম সংকটজনক পরিস্থিতিতে দেশকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করেছেন বরিস। ব্রেক্সিট থেকে কোভিড, কঠিন সময়গুলিতে দারুণ কাজ করেছেন তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। তাঁর কাজের জন্য গোটা দেশ বরিসের কাছে কৃতজ্ঞ। যদিও প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, কিন্তু আমি চাই দেশের মানুষের জন্য কাজ করুন বরিস।”
ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এখন রয়েছে মাত্র দু’জনের নাম। ঋষি ছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন পেনি মরড্যান্ট। কিন্তু তাঁর দিকে সেভাবে এমপিদের সমর্থন নেই। ফলে ঋষির প্রধানমন্ত্রী হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। মাসখানেক আগেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে হার মানতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ব্রিটেনের অর্থনীতির বেহাল দশা সামাল দিতে এখন তাঁর উপরেই সবচেয়ে বেশি ভরসা করছে দেশের মানুষ।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে