ফ্রান্স থেকে গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করল ইরান; চোখ চীন ও জাপানের দিকে
ফ্রান্সের ‘অপেশাদার আচরণের’ কারণে দেশটি থেকে গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ইরান।
ইরানের বাণিজ্য, শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়ে বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফ্রান্স যাতে এদেশের গাড়ি নির্মাণ শিল্পের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে না পারে সেজন্য ফ্রান্সের গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওমিদ কলিবফ বলেছে, বিগত বছরগুলোতে ফ্রান্সের অপেশাদার আচরণ বিবেচনায় নিয়ে দেশটি থেকে পেজো, রেনো ও সিট্রোন গাড়িসহ এসব গাড়ির সব ধরনের খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
কলিবফ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্স থেকে গাড়ি আমদানির জন্য কোনো লাইসেন্স ইস্যু করা হয়নি। এর পরিবর্তে জাপান, চীন এবং অন্য কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ থেকে গাড়ি আমদানি করার চেষ্টা চলছে।
ইরানে গত সেপ্টেম্বর মাসে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর বিদেশি মদদে সহিংসতা শুরু হলে প্যারিসের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়।গত দুই মাস ধরে বিদেশিদের উস্কানিতে দাঙ্গাবাজরা পুলিশসহ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করছে।
দাঙ্গাবাজদের কবল থেকে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা রক্ষা করে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী যেসব ব্যবস্থা নিচ্ছে তাকে পশ্চিমা দেশগুলো ‘দমন অভিযান’ নামে অভিহিত করছে। যেসব ইউরোপীয় দেশ কথিত ‘দমন অভিযানের’ জন্য তেহরানকে অভিযুক্ত করে বারবার বিবৃতি দিচ্ছে সেগুলোর মধ্যে ফ্রান্স শীর্ষে রয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন গত সপ্তাহে ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী একদল প্রবাসী ইরানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি তার ভাষায় ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে ‘চলমান বিপ্লবের’ প্রতি সমর্থন জানান। তার এ হস্তক্ষেপকামী বক্তব্যের বিরুদ্ধে তেহরান কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে


