জামাল ভূঁইয়ার ২ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য আর্জেন্টাইন ক্লাবকে ফিফার নির্দেশ

অবশেষে আন্তর্জাতিক ফুটবলের শাসক সংস্থার (ফিফা) রায় এলো বাংলাদেশের ফুটবলার জামাল ভূঁইয়ার পক্ষে।

জামাল ২০২৩ সালে আর্জেন্টাইন ক্লাব সোল দা মায়োতে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। দেড় বছরের চুক্তি করলেও সাত মাসের বেশি খেলতে পারেননি তিনি। চার ম্যাচ খেলে দুটি গোলও করেছিলেন জামাল। তবে কোনও বেতন না পাওয়ায় একতরফা চুক্তি ভঙ্গ করে ক্লাব ছেড়েছিলেন জামাল। এরপরই ফিফার কাছে বকেয়া চেয়ে আবেদন করে নিজের পক্ষে রায় পেয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক। 

একদিন আগেই ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনাল থেকে বড় পরিসরে রায় এসেছে। ব্রাজিলিয়ান আন্দ্রে দোস সান্তোস মেগালের বিচারক সোল দা মায়োকে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার জামালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ১ কোটি ৯০ লাখ ২৯৮০ টাকার সমান।

ফিফার ট্রাইব্যুনাল থেকে এমন রায় পেয়ে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি অনেক আশা নিয়ে আর্জেন্টিনার সোল দা মায়াতো খেলতে গিয়েছিলাম। ছিলামও অনেক দিন। কিন্তু ওরা আমাকে কোনও টাকা পয়সা দেয়নি। তাই চুক্তির মাঝ পথে সেটি ছিন্ন করে চলে আসতে হয়েছিল। এসেই ফিফার কাছে অভিযোগ করি। এখন রায় পেয়ে আমি অনেক খুশি।

মোট টাকার মধ্যে সাত মাসের বেতন ১২ হাজার ডলার করে। সঙ্গে ৫ শতাংশ ইন্টারেস্ট। যা দাঁড়ায় ৭৪ হাজার ৭৮০ ডলারের মতো। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সোল দা মায়ো ক্লাবকে এই অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

তবে আর্জেন্টাইন ক্লাবটি এমন অপেশাদার আচারণ করবে ভাবতে পারেননি জামাল। এনিয়ে তিনি বলেন, আসলে ওরা এমন করবে তা চিন্তাও করিনি। যখন টাকা পয়সা পাইনি। এই বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও অব্যবস্থাপনা থেকে সেটি ভঙ্গ করে চলে এসেছি। এসে ওদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করিনি। ফিফায় আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ে করে অবশেষে রায় পেয়েছি।

বিচারে সোল দা মায়ো ফিফার ট্রাইব্যুনালের কাছে তাদের পক্ষে কোনও ডকুমেন্টস দেখাতে পারেনি। তবে এমন রায়ের পর আর্জেন্টাইন ক্লাবটি ১০ দিন সময় পাচ্ছে আপিল করার। আর্থিক বিষয়গুলো আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তা নাহলে তিন মাস স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন নিষিদ্ধ থাকবে তাদের। বর্তমানে জামাল ভূঁইয়া খেলছেন আবাহনী লিমিটেডে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news