পাওয়ারপ্লেতে উপভোগ করা থেকে চ্যালেঞ্জিং বেশি: মেহেদী হাসান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন শেখ মেহেদী হাসান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ারপ্লেতে বোলিংয়ের কাজটা মেহেদীকে নিয়মিতই করতে হয়। এখন পর্যন্ত ৪৫ ইনিংসে ২৭ বার এক প্রান্তে উদ্বোধন করেছেন টাইগার দলের এই অলরাউন্ডার অফ স্পিনার। সফলও হয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের ৩৮ উইকেটের মধ্যে ২০টি পেয়েছেন পাওয়ারপ্লেতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন এই টাইগার অফ স্পিনার। তিনি বলেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পাওয়ারপ্লেতে বোলিং করা যতটা না উপভোগের বিষয়, তার চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং।
স্বাভাবিকভাবেই পাওয়ারপ্লেতে বৃত্তের বাইরে দুজনের বেশি ফিল্ডার থাকতে পারেন না বলে প্রতিপক্ষের রানের গতি আটকানোর চ্যালেঞ্জও থাকে উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি। সেখানে মেহেদী বেশ সফল। ক্যারিয়ারে ইকোনমি রেট ৬.৩৮ হলেও প্রথম ৬ ওভারে মেহেদী মাত্র ৫.৬৭ করে রান দিয়েছেন।
পাওয়ারপ্লেতে বোলিং নিয়ে মেহেদী বলেছেন, উপভোগ করা থেকে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি সেখানে। যেহেতু পাওয়াপ্লেতে বোলিং, আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট রানের খেলা। এখানে যত কম রানে আটকানো যায় আর কি বোলিং করে। ওই চ্যালেঞ্জটাই বেশি থাকে। উপভোগ থেকে চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকে। -প্রথম আলো
তারপরও পাওয়ারপ্লের বোলিংটা উপভোগ করতে পারলে সেটি দলের জন্যই ভালো মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে মেহেদী বলেছেন, কঠিন পরিস্থিতি থাকে পাওয়ারপ্লেতে। উপভোগ তো একদমই থাকে না। সেখানে যদি উপভোগ করতে পারি, তাহলে দলের লাভটাই বেশি হয়।
২০১৮ সালে অভিষেক হলেও দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলতে প্রায় ২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল মেহেদীকে। ২০২০ সাল থেকে জাতীয় দলে প্রায় নিয়মিতই ছিলেন, ২০২১ সালের বিশ্বকাপেও খেলেছেন। কিন্তু পরের বছরের বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি আর, সেবার এশিয়া কাপ খেলে বাদ পড়েন।
মেহেদী ফিরে এসেছেন আবার। তবে ফেরাটা সহজ ছিল না জানিয়ে মেহেদী বলেছেন, এবারের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত একটা চ্যালেঞ্জও নিয়েছেন, ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ আছে বিশ্বকাপে। প্রথম রাউন্ড শেষ করে পরের রাউন্ডে আগে যাওয়া। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


