বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে আমরা সুবিধা পাবো: সাকিব
বাংলাদেশের হয়ে খেললেও বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন সাকিব আল হাসান। পরিবারের সঙ্গে বছরের বেশিরভাগ সময় কাটান সেখানেই। জন্মসূত্রে তার ছোট দুই সন্তান সে দেশের নাগরিক। সে অর্থে যুক্তরাষ্ট্রকে সাকিবের দ্বিতীয় বাড়ি বললেও ভুল হবে না। আর তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখানেও ঘরের মাঠের মতো বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশা করছেন এই অল-রাউন্ডার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। এবারই প্রথম আইসিসির কোনো আসর মার্কিন মুলুকে বসবে। বাংলাদেশ সময় আগামী ২ জুন সেখানেই শুরু হবে বিশ্বকাপের নবম আসর।
এই টুর্নামেন্টের দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে বিসিবির ধারাবাহিক আয়োজন দ্য গ্রিন রেড স্টোরির এবারের পর্বে ছিলেন সাকিব। অন্যান্য ভিডিওতে খেলোয়াড়দের আলাদা কোনো প্রশ্ন পড়তে না হলেও সাকিব উত্তর দেন কাগজে লেখা কিছু প্রশ্ন পড়ে। সেখানেই একটি প্রশ্ন ছিল, অনেকেই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সাকিবের ‘সেকেন্ড হোম’ (দ্বিতীয় বাড়ি)। হোম অ্যাডভান্টেজ (ঘরের সুবিধা) কি পাবে দল?
আমাদের মতোই হয়ে থাকে। তাই আমি আশা করছি দুই জায়গাতেই আমরা সুবিধা পাব।
এবারই প্রথম ২০ দল নিয়ে আয়োজন হচ্ছে বিশ্বকাপের কোনো আসর। চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে তারা। ‘ডি’ গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বাংলাদেশ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডসকে। গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচ নাজমুল হোসেন শান্তর দল খেলবে যুক্তরাষ্ট্রে। পরের দুটি খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে। দুটি ভিন্ন দেশে খেলা হলেও ভালো সমর্থন পাওয়ার আশা সাকিবের।
প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক সেখানে অপেক্ষা করছে। আশা করি তারা পূর্ণ সমর্থন দেবে আমাদের। তাদের এই সমর্থন আমাদের কাজে আসবে এবং আমরা ভালো ফল পেতে সমর্থ হব।আগামী ৮ জুন ডালাসে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি