প্রত্যাশিত জয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ শুরু

প্রত্যাশিত জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রত্যাশা মতো ব্যাটিং ঝড় তুলতে না পারলেও ওমানের বিপক্ষে জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। ৩৯ রানে ওমানকে হারিয়েছে তারা। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করেছিল। জবাবে ওমান ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করে।

ওমানের আমন্ত্রণে ব্যাট হাতে নামা অস্ট্রেলিয়া শুরুতে মোটেও স্বস্তিতে ছিল না। একের পর এক উইকেট হারানোর ব্যাটিং ঝড় তুলতেই ভুলে গিয়েছিল দলটি। মাত্র ৫০ রানের মধ্যে ওমানের বোলাররা ট্রাভিস হেড, অধিনায়ক মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট তুলে নিয়েছিল। 

দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১২ রানে বিলাল খানের বলে খালিদ কাইলের হাতে ধরা পড়েন ট্রাভিস হেড। কিছু সময় পর অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধাক্কাটা দেন মেহরান খান। পরপর দুই বলে মিচেল মার্শ (১৪) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের (০) উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন তিনি। তবে মার্কাস স্টয়নিস তাকে হ্যাটট্রিক থেকে বঞ্চিত করেন। শুধু তাই নয়, স্টয়নিস ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটি বেঁধে ওমানের বোলারদের নাভিশ্বাস তোলেন। ১০২ রানের পার্টনারশিপ তাদের।

৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টয়নিস। মাত্র ৩৬ বলে তিনি এই ইনিংসটা সাজাতে দুটো বাউন্ডারির পাশাপাশি আধাডজন ওভার বাউন্ডারি মারেন। অন্যদিকে ওয়ার্নারের ব্যাটিং কিছুটা ধীর গতির ছিল। পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলাতেই ৫১ বলে ৫৬ রান করেন তিনি।

মেহরান খান ছিলেন সফল বোলার। দুই উইকেট শিকার তার।

প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও ওমান সহজে হাল ছাড়েনি।  স্বল্প রানের লজ্জায় তারা ডুববে কিনা এমন একটা শঙ্কা ছিল। তেমন শঙ্কা নিয়েই তাদের ইনিংস শুরু হয়েছিল। ৩৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর ৫৭ রানে তারা ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছিল। কিন্তু আয়ান খান ও মেহরান খানের চমৎকার ব্যাটিংয়ে তাদেরকে আর লজ্জায় ডুবতে হয়নি।

আয়ান খান ৩৬ রান করেন। দুটো করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। অন্যদিকে মেহরান খানের সংগ্রহ ছিল ২৭ রান। ১৬ বলে তিনি এ রান করেন।

স্টয়নিস ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ছিলেন সফল। ৩ উইকেট নেন তিনি। দুটো করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক, নাথান ইলিস ও অ্যাডাম জাম্পা। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news