সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারাল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে এবং প্রথম ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে আগেই হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ২২ গজেও কাজের কাজটা করে দেখিয়েছে স্বাগতিকরা। সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আশা যুক্তরাষ্ট্র।
সুপার ওভারে মোহাম্মদ আমিরের হাতে বল তুলে দেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। আমির বলে ১৮ রান তুলে নেই জোন্স এবং হারমীত সিং। জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় বলে ৪ রান তুললেও পরের বলে ক্যাচ আউট হন ইফতেখার আহমেদ। তবে শেষ পর্যন্ত ১৩ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। এতে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাবর-রিজওয়ানরা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) আগে ব্যাট করে যুক্তরাষ্ট্রকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৫৯ রান তুললে ম্যাচ গড়াই সুপার ওভারে।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করে স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং লাইনের সামনে দেখে শুনে পা ফেলতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ওপেনার। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। ১২ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন স্টিভেন টেইলর।
তবে আন্দ্রেস গাউসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার মোনাঙ্ক প্যাটেল। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে এগোতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ২৫ বলে ৩৫ রান করে গাউস আউট হলেও ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন মোনাঙ্ক প্যাটেল।
তবে ৪ বল পরেই সাজঘরে ফেরেন এই যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক। তবে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন অ্যারন জোন্স। শেষ ১২ বলে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১ রান। ১৯তম ওভারে আমিরের হাতে বল তুলে দেন বাবর আজম।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৬ রান খরচ করেন এই বাঁহাতি পেসার। এই ওভারেই ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের করে নেই পাকিস্তান। কিন্তু শেষ ওভারে হারিসের বলে ১৪ রান তুলে ম্যাচকে সুপার ওভারে রূপান্তর করে জোন্স ৩৬* এবং নিতিশ কুমার ১৪*।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ আমির, নাসিম শাহ এবং হারিস রাউফ একটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ৮ বলে ৯ রান করে দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩ বলে ৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ওসমান খান।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ফখর জামানও। ৭ বলে ১১ রান করে ক্যাচ আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন বাবর আজম। তাকে সঙ্গ দিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন শাদাব খান। ২৫ বলে ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার।
এরপর বাবরকে সঙ্গ দেন ইফতেখার আহমেদ। তবে ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাবর। ৪৩ বলে ৪৪ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই পাক অধিনায়ক। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ইফতেখারও। ১৪ বলে ১৮ রান করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত হারিস রাউফের ৩ বলে ৩ রান এবং শাহিন শাহ আফ্রিদির ১৬ বলের অপরাজিত ২৩ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ১৫৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় পাকিস্তান।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন নশতুশ কেনজিগে। এ ছাড়াও সৌরভ নেথ্রালভাকার দুটি, জেসি সিং ও আলি খান নেন একটি করে উইকেট। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি