বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু শনিবার

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে ২ জুন। এরই মধ্যে একাধিক দেশ দুটো করে ম্যাচ শেষ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ এখনো শুরু হয়নি। বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর সাড়ে ছয়টায় টাইগাররা এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মাঠে নামবে। 'ডি' গ্রুপের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে। ডালাসে এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের প্রথম হলেও শ্রীলঙ্কার এটা দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচের স্মৃতি শ্রীলঙ্কার জন্য মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। বরং যত দ্রুত তা স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা যায় ততই তাদের জন্য মঙ্গল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৭৭ রানে অল আউট হয়েছিল, হেরেছিল ৬ উইকেটে। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে এ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয়ের বিকল্প নেই।

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কা অল্প রানে গুটিয়ে গিয়েছিল সত্যি, তবে বোলাররা দারুণ লড়াই করেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের বিধ্বংসী ভূমিকায় নামতে দেয়নি। স্বল্প রান টপকাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭তম ওভার পর্যন্ত খেলতে বাধ্য করেছিল তারা। লঙ্কার এই বোলিং পারফরম্যান্স তাদেরকে আত্মবিশ্বাস যোগাবে এবং ভালো করতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ দল যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আগেভাগে যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছায়। সেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটোতে হেরে যায়। ব্যাটিং লাইন নিয়ে সমস্যায় রয়েছে টাইগাররা। দলের টপ অর্ডার ব্যাটাররা রান পাচ্ছে না। অবস্থা এতটাই নাজুক যে, ওপেনিং জুটি এ বছর মাত্র চারবার ৩০ রানের জুটি গড়তে পেরেছে। চারবার ১০ রানের নিচে ওপেনিং জুটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত নামের প্রতি বিচার করতে পারছেন না।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। দুইবার মুখোমুখি হয়েছে তারা। দুইবার শ্রীলঙ্কার জয়। মোট লড়াইয়েও শ্রীলঙ্কা এগিয়ে। ১৬ লড়াইয়ের ১১টিতে জয় দ্বীপ রাষ্ট্রটির। সর্বশেষ পাঁচ লড়াইয়ের চারটিতে জয় শ্রীলঙ্কার। তাছাড়া বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সিরিজেও জয় পায় শ্রীলঙ্কা। তবে দুই দলের এ বছরের পারফরম্যান্সে কেউ কাউকে পেছনে ফেলতে পারেনি, যা বাংলাদেশকে উজ্জ্বীবিত করার জন্য যথেষ্ঠ। এ বছর বাংলাদেশ ১১ ম্যাচের ছয়টিতে জয় পেয়েছে। শ্রীলঙ্কার জয়ও ৬ ম্যাচে। তারা খেলেছে ১০ ম্যাচ। এ সময়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক রান করেছেন তৌহিদ হৃদয়। ২৬৩ রান করেছেন। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বাধিক রান কুশাল মেন্ডিসের। তার রান ৩০৩। বোলিংয়ে হয়েছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মুস্তাফিজুর রহমান দুই দেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন। উভয়ের উইকেট সংখ্যা ১৫।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ ম্যাচে জয়ের জন্য তৌহিদ হৃদয় ও মুস্তাফিজুর রহমানের পাশাপাশি বাংলাদেশ তানজীদ হাসানের দিকে তাকিয়ে থাকবে। সে সঙ্গে দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ওপর অনেকটা নির্ভর করবে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news