দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি: সাকিব

দেশ সেরা অলরাউন্ডার তিনি। কিন্তু ব্যাটিং বা বোলিং কোনটাতেই এ সময়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ২০ ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি তো দূরের কথা একবারও নিজের রানকে চল্লিশের ঘরে নিতে পারেননি। দশবার রানকে দুই অঙ্কে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

বলা হচ্ছে সাকিব আল হাসানের কথা। বল হাতেও তিনি ফুল ফোটাতে পারছিলেন না। সর্বশেষ সাত ম্যাচে তার শিকার সংখ্যা দুই। বিশ্বকাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার পর মাত্র একটা উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন। ফলে সাকিব আল হাসানের সমালোচনা মুখর হয়েছিল বিশ্ব। এমন কি তাকে সাবেক ক্রিকেটারদের কেউ কেউ তাকে অবসরের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

সত্যিকারভাবে সাকিব আল হাসান প্রত্যাশা মেটাতে পারছিলেন না। সমালোচনার মুখে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন তিনি। জবাব দিয়েছেন সমালোচকদের। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলের সুপার এইটের পথটা উজ্জ্বল করেছেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ঝলমলে এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। করেছেন অপরাজিত ৬৪ রান।

বৃহষ্পতিবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের অক্টোবরে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন সাকিব। তারপর থেকে মাঠে ও মাঠের বাইরে বিভিন্ন জটিলতায় ছিলেন। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে দলকে প্রচণ্ডভাবে হতাশ করেছিলেন তিনি। মাত্র ৮ ও ৩ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তার চমৎকার ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে বাংলাদেশ ২৫ রানে জয় পায়। এ জয় বাংলাদেশকে সুপার এইটের পথে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।

চমৎকার ব্যাটিংয়ে সাকিব আল হাসান ম্যাচ সেরা হয়েছেন। ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘চার নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের  শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা গুরুত্বপূর্ণ। দলের জন্য যে অবদান আমি রাখতে পেরেছি তাতে আমি খুশি। ব্যাট করার জন্য উইকেট মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু আমরা আমাদের স্নায়ু ধরে রেখেছিলাম এবং একটা নির্ভরযোগ্য সংগ্রহ দাঁড় করাতে সমর্থ হয়েছি।’

সাকিব আরও বলেন, নেদারল্যান্ডস একটা সময় ভালো অবস্থানে ছিল। দ্বাদশ ওভারে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ৯০ রান। তখন ওভার প্রতি ১০ রান তেমন কোনো কঠিন কাজ ছিল না। এ অবস্থায় তাদেরকে হারানো কঠিন ছিল। জয়ের সব কৃতিত্ব বোলারদের। তারা দারুণ বোলিং করেছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news