ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঁদিয়ে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকা

 সেমিফাইনাল খেলতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। কিন্তু সেই জয়টা তাদের হাতে ধরা দিল না। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে তাদেরকে হতাশায় ডুবিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস মেথডে তারা ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে। 

নর্থ সাউন্ডে সোমবার সকালে শুরু হওয়া ম্যাচে আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করেছিল। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১৭ ওভারে ১২৩ রান। ১৬.১ ওভারে তারা প্রয়োজনীয় রান তুলে নিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে।

১৩৬ রানে খেলতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে তারা করেছিল ১৫ রান। দুটো উইকেটই নিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। এমন সময় বৃষ্টিতে খেলা বিঘ্ন হয়। নতুন করে লক্ষ্য নির্ধারণ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। সে লক্ষ্যে খেলতে নেমে ট্রিস্টান স্টাবস সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন এইডেন মার্করাম (১৮), হেনরিখ ক্লাসেনকে (২২)। ক্লাসেন স্বল্প একটা ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। মাত্র ১০ বলে এই রান কনে।

ক্ষণে ক্ষণে বদলেছে ম্যাচের ভাগ্য। কখনো ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, কখনো তৈরি করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখ থেকে শেষ হাসিটি কেড়ে নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন। ১৪ বলে করেছেন ২১ রান।  নিজের ইনিংসে একমাত্র ওভার বাউন্ডারি মেরে ম্যাচের সব উত্তেজনা শেষ করে দেন তিনি।

রোস্টন চেজ ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেও শেষ হাসি হাসতে পারেননি।

দিনের শুরুতে টস হেরে ব্যাকফুটে চলে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতেই জোড়া উইকেট হারায় তারা। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নাই হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মাত্র ৫ রানে দুই উইকেট হারালেও কাইল মায়ার্স ও রোস্তন চেজ দারুণভাবে বিপর্যয় সামাল দিয়েছিলেন। তৃতীয় উইকেটে তারা ৮১ রান করেন।

কিন্তু সতীর্থরা তাদের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে মোটেও সুবিধা করতে পারেননি। বরং তারা যেনো উইকেট হারানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। দলীয় ৮৬ রানে এ জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর একের পর এক উইকেটের পতন হয়। ২ উইকেটে ৮৬ রান থেকে ৯৭ রানে যেতে ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা।

কাইল মায়ার্স ৩৪ বলে ৩৫ রান করেন। তিনটি বাউন্ডারি ও দুটো ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। অন্যদিকে ৪২ বলে ৫২ রান করেন চেজ। তিনিও সমসংখ্যক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন।

তাবরিজ শামসি ছিলেন সফল বোলার। ৪ ওভারে ২৭ রানে তিন উইকেট নেন তিনি। এছাড়া মার্কো ইয়ানসেন, এইডেন মার্করাম, কেশভ মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা একটি করে উইকেট শিকার করেন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news