ক্রিকেট ভারত চালায়, তাদের বিপক্ষে কথা বলার কেউ নেই: গেইল

বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত ও আইসিসির মধ্যে সম্পর্কটা সবার জানা। অন্য দলগুলোর তুলনায় আইসিসি থেকে বহুগুনে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকে ভারত। একই সঙ্গে অন্যান্য অনৈতিক সুবিধাও পায় দেশটির ক্রিকেট দল। টুর্নামেন্টের সময়ও তারা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে।

এবারের বিশ্বকাপের কথাই ধরা যাক। গ্রুপ পর্বে প্রতি দলকে চারটি করে ম্যাচ খেলতে হয়েছে। শ্রীলঙ্কাকে চারটি ম্যাচ চার ভিন্ন ভেনু্যতে খেলতে হয়েছে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি পথ ভ্রমণ করতে হয়েছে। অথচ ভারত একই ভেনু্যতে তিনটি ম্যাচ খেলেছে। তারা যেখানে ছিল সেই হোটেল থেকে মাঠের দূরত্বও কম ছিল।

এখানে শেষ নয়, ভারতকে সেমিফাইনালিস্ট বিবেচনা করেই সূচী করা হয়েছে। ভারত সেমিতে উঠলে কোনো ভেনূ্যতে খেলবে তা আগেই ঠিক করা রয়েছে। সুপার এইটে ভারতের অবস্থান যাই হোক না তাদের জন্য সেমিফাইনাল খেলার ভেনূ্য পূর্ব নির্ধারিত। ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিতে কতটা নির্লজ্জ হয়েছে আইসিসি তা দুই সেমিফাইনালের সুচীতে স্পষ্ট। প্রথম ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হলেও ভারত যে ম্যাচে খেলছে তার জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। অর্থাৎ বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। একই সঙ্গে পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় ভারত ফাইনালে উঠে যাবে।

এতসব অনিয়ম দেখে চুপ থাকতে পারছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক হার্ড হিটার ব্যাটার ক্রিস গেইল। আইপিএল থেকে শুরু করে অন্য সব জায়গায় ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে ক্রিকেটের কি ক্ষতি করা হচ্ছে তা নিয়ে কথা বলেছেন।

এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, কেউ ভারতকে নিয়ে কথা বলতে পারবে না। কারণ ক্রিকেটটা ভারত চালায়। এটাই বাস্তবতা। এটা মেনে নিতে হবে। ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কেউ নেই।

আইপিএলের কারণে কিভাবে ক্রিকেটের ক্ষতি হচ্ছে তা নিয়েও কথা বলেছেন গেইল। তিনি বলেন, ভারতের কোনো খেলোয়াড় সিপিএল বা অন্য কোনো লিগে খেলে না। অবসরের আগে ভারতের কোনো খেলোয়াড় তা করতে পারবে না। কিন্তু বিশ্বের বড় বড় ক্রিকেটাররা ঠিকই আইপিএলে খেলে। এই দুটোকে এক করুন তাহলে উত্তর পেয়ে যাবেন।

গেইল আরো বলেন, ভারতে খেলাটি নিয়ে পূজা হয়। টিভি স্বত্ব, সবকিছুই ভারতের ওপর নির্ভর করে। জায়গাটা ভারতের। প্রভাব প্রতিপত্তি সব ভারতের। আইপিএল যখন এতটা দাপটের তখন আইপিএল চলার সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না রাখা ভালো। অনেক খেলোয়াড় এখন অবসর নিয়ে আইপিএল খেলতে যাচেছ। যদি সত্যিকে সত্যি বলতে না পারেন তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শেষ হয়ে যাবে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news