শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তবে মাঠের বাইরের আবহটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে রং। এতদিন ধরে উপেক্ষিত থাকা ক্রীড়া সংগঠকদের বিচরণে সরগরম হোম অব ক্রিকেট।  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে অধিকাংশ ক্রিকেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্ম্যে সমর্থন দিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। তিনি এখন গণমাধ্যমেও সরব। 

দুর্নীতির পাশাপাশি ক্রিকেটারদের রাজনীতি-ব্যবসা নিয়েও মুখ খোলেন জাতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। রোববার (১১ আগস্ট) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের সামনে সোহান জানিয়েছে, রাজনীতি-ব্যাবসা করলে কাউকে ক্রিকেটে আসা উচিৎ না। 

‘সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা কখনোই উচিত নয়। রাজনীতি একটা বড় ব্যাপার। রাজনীতির মাঠে থেকে জাতীয় দলে সেরকম সময় দেওয়া কঠিন। কারো যদি রাজনীতি করার ইচ্ছে হয়, তাহলে তার খেলা থেকে অবসরের পর করা উচিত।’

ক্রিকেট খেলেও সরকারি দলের সাংসদ হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা-সাকিব আল হাসান। ২০২৪ এর নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মাশরাফি সাংসদ হলেও সাকিব হয়েছিলেন এবারই প্রথম। 

মাশরাফি সাংসদ থাকা অবস্থায় জাতীয় দলে খেলেছেন নিয়মিত, ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন, ২০২০ সালের পর অবশ্য জাতীয় দলে জায়গা হারিয়েছেন। কিন্তু ঘরোয়া আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে গেছেন নিয়মিতভাবে। এদিকে সাকিব সাংসদ থাকা অবস্থায় এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন, এখনও আছেন জাতীয় দলে। 

সোহান যে সাকিব-মাশরাফিকে ইঙ্গিত করেই বলেছেন তা স্পষ্ট। এদিকে শুধু সতীর্থ নয় ক্রীড়া সংগঠকদেরও এক হাত নিয়েছেন তিনি,  ‘ক্রিকেট বোর্ডে ভালো সংগঠকদের আসা উচিত। ক্রিকেট বোর্ড ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জায়গা না। এখানে এসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন, এমন ব্যক্তিদের বোর্ডে না আসাই ভালো।’

‘কিছু মানুষ নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। অবশ্যই বিসিবিতে অনেক ভালো মানুষ আছে, ক্রীড়াঙ্গনে আছে। কিন্তু এমন মানুষের আসা উচিত না যারা স্পোর্টস নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। ব্যক্তিগত এজেন্ডা নিয়ে আসে। তাদের ক্রিকেটে আসার দরকার নাই’-আরও যোগ করেন সোহান। 

news