ঢাকা মহানগর উত্তর-এর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের নেতৃত্বে মঙ্গলবার মানববন্ধন হয়েছে মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে। যোগ্য সংগঠকদের দিয়ে ক্রিকেট পরিচালনার আহবান তাদের। একইদিন সাকিব আল হাসানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় মিরপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
সভাপতি নাজমুল হাসান ও পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল ক্রিকেট বোর্ড। বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানারে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ। সব শ্রেণি পেশার মানুষ থাকলেও বিএনপিপন্থী সংগঠক ও খেলোয়াড়দের উপস্থিতি ছিল বেশি। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিএনপি নেতা আমিনুল হক।
সবার দাবি প্রায় এক। বিসিবির বর্তমান বোর্ডের পদত্যাগ। নির্দিষ্ট দল ও মতের ব্যক্তি নয়, যোগ্য সংগঠকদের দিয়ে বিসিবি পরিচালনার দাবি তোলেন আমিনুল।
সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর এই স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের স্পোর্টসে দলীয়করণ এবং রাজনীতিকরণের মাধ্যেমে এটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এটা দুর্নীতির একটি আখড়া বানিয়ে ফেলেছে। আমাদের দাবি এই ক্রিকেট বোর্ডের যারা পরিচালক রয়েছেন তারা অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করবেন।
প্রতিবাদে অংশ নেয়া বেশিরভাগকে বিসিবির ভেতরে যেতে দেয়া হয়নি। তবে সংগঠকদের বেশ কয়েকজন ভেতরে অবস্থান নেন। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য তৎপর ছিল সেনাবাহিনী। আমিনুলের সঙ্গে আলাদা করে কথাও বলেন সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বোর্ড থেকে বেরিয়ে আমিনুল হকের নেতৃত্বে মিছিল করে বিএনপি নেতা কর্মীরা। এ ধরণের শোডাউন বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে কি বার্তা দিচ্ছে, বিশেষ করে নারী বিশ্বকাপের আগে।
আমিনুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যে উপদেষ্টা রয়েছেন তার সঙ্গে বসে আলোচনা করে নতুনভাবে একটি ফরম্যাট করে আইসিসির যে নিয়ম রয়েছে তার আলোকে নির্বাচন করে নতুন একটি গভর্ণিং বডি দাবি করছি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাবে সেটা আমরা প্রত্যাশা করি। নতুন যারা দায়িত্ব নেবে তাদের মাধ্যমে পরবর্তীতে উন্নয়মূলক কাজ পরিচালিত হবে।
সাকিব আল হাসানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও ওঠে প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে। না হলে মিরপুর স্টেডিয়ামে তাকে ঢুকতে না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।