সরকার পতনের পর হিড়িক পড়েছে পদত্যাগের। বিভিন্ন খাতের ঊর্ধ্বতনরা পদ ছাড়ছেন প্রায় প্রতিদিনই। এসবের মাঝে নিজ দায়িত্বে বহাল আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে, পদত্যাগ করতে রাজি আছেন তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিবির একটি সূত্র বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গণমাধ্যমকে জানিয়েছে এমনটি।
২০১২ সাল থেকে বিসিবি শীর্ষ পদে আছেন পাপন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তবে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ভেঙে যায় জাতীয় সংসদ। এতে, নিজের সাংসদ পদটিও হারান পাপন। গত ৫ আগস্ট থেকে তার খোঁজও পাওয়া যায়নি। এবার শোনা গেল পদত্যাগে রাজি হয়েছেন তিনি।
বিসিবির ওই সূত্র জানায়—‘বিসিবিতে যেন সংস্কার করা হয়, সেজন্য নিজের পদ ছাড়তে সম্মত হয়েছেন পাপন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিতে হবে, পরবর্তীতে বিসিবির সভায় তা অনুমোদন করা হবে। বিসিবি সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র পাঠালে সভা ডাকা হবে।’
নিয়ম অনুযায়ী পাপনের পদত্যাগের পর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে বোর্ডের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া পরিচালকদের মধ্যে থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন দুজন। তাদের মধ্যে থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন যে কেউ। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে সরকারি হস্তক্ষেপে যদি বোর্ডে পরিবর্তন আসে, সেক্ষেত্রে আইসিসির খড়গ নেমে আসতে পারে। তবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে যে পথে এগুনো প্রয়োজন, ঠিক সেই পথে চলার চেষ্টা করছেন বিসিবির পরিচালকরা।
এর আগে পাপনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, ‘বর্তমানে বিসিবি সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে অবশ্যই সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত, তাই বিসিবির যারা পরিচালক আছেন তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যা করার, সেটি করবেন।