আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে পর্দা ওঠার কথা আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও ডামাডোলের প্রভাবে সেই আয়োজনে পড়েছে শঙ্কা। যদিও বাংলাদেশ পুরোপুরি এই আসর আয়োজন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়নি কিংবা সেরকম আভাস দেয়নি। তবে আইসিসির কপালে ইতোমধ্যেই পড়েছে চিন্তার ভাজ। এরইমধ্যে বিকল্প হিসেবে ভারত, শ্রীলঙ্কাকে তারা ভেবে রেখেছে। এমনকি বিসিসিআইয়ের কাছে আয়োজক হবার প্রস্তাব দিলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। এমন পরিস্থিতিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে আগ্রহ দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

বিখ্যাত ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, ক্রিকইনফো জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপ আয়োজনে ইচ্ছার কথা নিশ্চিত হয়েছে। সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপের (২০১৮ ও ২০১৩) বাছাইপর্ব আয়োজন করে তারা নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে এবং নতুন করে মূল টুর্নামেন্ট আয়োজনেও আগ্রহী। 

এর আগে ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল আফ্রিকার এই দেশটি। যদিও একটা দীর্ঘ সময় ধরে দেশটিতে কোনো বড় টুর্নামেন্ট হচ্ছে না। যদিও এর পেছনে যৌক্তিক কারণ রয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের শাসনকালে (২০০৫-২০১১) দেশটিতে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি, দেশকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা ও জোরপূর্বক নীপিড়ন চালানো হয়েছিল। এ ছাড়া তারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল আসরে।

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে আগামী ২০ আগস্ট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসবে আইসিসি। তারা চাচ্ছে সেই সময়ের মধ্যে যেন বিসিবি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। তখনই বোঝা যাবে এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হচ্ছে কোন দেশ, টুর্নামেন্টটির গন্তব্য কোথায়।

news