সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও অক্টোবরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। গোয়ালিয়রে ৬ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে সে ম্যাচ নিয়ে শঙ্কার খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। ১৪ বছর পর হতে যাওয়া গোয়ালিয়রের সেই ম্যাচের বিরোধিতা করছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।
দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৪ আগস্ট বুধবার হিন্দু মহাসভার সহসভাপতি ডা. জয়বীর ভরদ্বাজ সাংবাদিকদের বলেছেন যে ডানপন্থী দলটি যেকোনো উপায়ে ম্যাচের বিরোধিতা করবে। তারা ম্যাচটি বাতিলের আবেদন জানিয়েছে। এর পরেও ম্যাচটি আয়োজনের চেষ্টা চালালে ভেন্যুতে হামলার হুমকি দিয়েছে তারা।
জয়বীর ভরদ্বাজ বলেছেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের গণহত্যা করা হচ্ছে... মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে।
তাই হিন্দু মহাসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচের বিরোধিতা করা হবে।’ তিনি আরো বলেন, শান্তি বজায় রাখার জন্য ম্যাচটি বাতিল করা উচিত, কারণ অন্যথায় দেশে অশান্তি হবে।
আগের দিন ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার, গোয়ালিয়র ডিভিশন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (জিডিসিএ) সহসভাপতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ছেলে মহানার্যমান সিন্ধিয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে অনুষ্ঠিত হবে। এটি ১৪ বছর পর গোয়ালিয়রে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ হবে।
একই দিন বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ভেন্যু আপগ্রেডেশন এবং সংস্কারকাজ চলার কারণে ম্যাচটি হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা থেকে গোয়ালিয়রে স্থানান্তরিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-নাগরিকের গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর পর থেকে কয়েক দিন দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থাপনা ও অনেক আবাসস্থলে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর অধিকাংশ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হলেও ভারতীয় অনেক সংবাদমাধ্যম ব্যাপারটিকে সংখ্যালঘু বা হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বলে তাদের প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ করেছে।