সবশেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছে পাকিস্তানের। এই দুই বিশ্ব আসরেই পাকিস্তান দলের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ ধরা হয় ক্রিকেটারদের যথেষ্ট ফিটনেস না থাকা। কদিন পরেই পাকিস্তান দল নামছে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে। বিশ্বকাপের পর প্রথমবার মাঠে নামার আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে আরও একবার কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক পেসার ওয়াসিম আকরাম।
তিনি বলেন, আমি এখনও এই বিষয়ে খুব বেশি কথা বলিনি এবং আমার কাছে ভেতরের কোনো খবরও নেই। আমি দুই বছর আগেই জানতাম ক্রিকেটাররা ফিটনেসকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না। বিশ্বকাপের সময় পুরো বিশ্ব দেখেছে আমাদের ক্রিকেটারদের ফিটনেস সত্যিকার অর্থে কতটা ভালো।
সাবেক এ গ্রেট তারকা বল হাতে মাঠ দাপিয়েছেন নব্বইয়ের দশকে। ৯২ এর বিশ্বকাপে ছিলেন চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের অন্যতম তুরুপের তাস। ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে ৯১৬ উইকেট পুরেছেন নিজের ঝুলিতে। তবে এই তারকা পেসারের মতে নিজেদের সময়ে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এখনকার মতো তথ্য কিংবা নীতিমালা সহজে পাওয়া যেত না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যদি এখন ক্রিকেট খেলতাম আমার ফিটনেস নিয়ে অনেক জ্ঞান থাকত, এটাই সাধারণ ব্যাপার। আমরা যখন ক্রিকেট খেলতাম ফিটনেস নিয়ে এতো তথ্য পেতাম না। তাই আমরা কেবল ইমরান খান, জাভেদ মিয়াদাদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা কী করছে তা অনুসরণ করতাম।
কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছিলেন হাফিজ। অভিযোগ করেছিলেন পাকিস্তান দলের ফিটনেস সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য সরাসরি দায়ী বাবর আজম, সাবেক প্রধান কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন ও সাবেক টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ সামনে রেখে এখন প্রস্তুতি সারছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে আগামী ২১ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে। করাচিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৩১ আগস্ট।