ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার আগে এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ক্রিকেট থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় চলতি সিরিজ শেষে কেবল ওয়ানডেতে খেলবেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। এখনই এই ফরম্যাটকে বিদায় জানাচ্ছেন না। যখন নিজের সময় হবে তখনই পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন বলে জানিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার আগে মঙ্গলবার অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ। বিদায় বেলায় জানান, খেলোয়াড়ি জীবন নিয়ে তার কোনো আক্ষেপ নেই।

আমার কোনো আক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের হয়ে খেলার সময় কোনো পর্যায়ে কখনই আমার আক্ষেপ ছিল না। আমি সবসময় টিম ম্যান হতে চেয়েছি, যে পজিশনেই খেলি না কেন। আমার দায়িত্ব পালন করতে সচেষ্ট ছিলাম। কোনো আফসোস নেই।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর একটা সময় জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে শতক হাঁকানোর পর জানিয়েছিলেন, জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার বিষয়ে সময় হলে কথা বলবেন।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ওইটা বলবো আমি ভুলি নাই ওটা। তবে এটা সম্ভবত সঠিক সময় না। আবারও যখন আমার সময় হবে, কারণ আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে, আমি খেলা শুরু করেছি আমার সময়ে। আমি বিদায়ও নেব আমার সময়ে। আর ওটা আপনারা সময় মতো পাবেন।

টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের লম্বা সময় ৬-৭ নম্বরে তথা ফিনিশারের ভূমিকায় ব্যাট করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তার উত্তরসূরি হিসেবে এই জায়গায় কারা ভালো করতে পারেন সে ক্রিকেটারদেরও নাম বলেন তিনি।

আমার মনে হয় যে, জাকের আলী অনিক বেশ ভালো করছে। শামীম পাটোয়ারিও আছে। আফিফও ভালো একটি পছন্দ হতে পারে। ইয়াসির আলী রাব্বীও হতে পারে। আমি যেটা আগেই বললাম যে, ৬-৭ নম্বরে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং করা খুব একটা সহজ নয়। এখানে আপনাকে সাহসী হতেই হবে। এখানে হতাশ হওয়ার কথা চিন্তাই করা যাবে না। এখানে এসেই সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বল মারতে হবে। তো এই ধরণের মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করতে হবে। কোচ, ক্যাপ্টেন, টিম ম্যানেজমেন্টকে পাশে থাকতে হবে।

news