বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেখানে ব্যাটারদের বড় ছক্কা হাঁকানোর ঘাটতি প্রকট, সেখানে একজন ব্যাটারের উত্থান ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আশার সঞ্চার করেছে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করা জিসান আলম এবার বিপিএলে নামতে প্রস্তুত। তার লক্ষ্য কী এবং কীভাবে তিনি এই সাফল্য অর্জন করছেন।
“জাতীয় ক্রিকেট লিগ -এনসিএল টি-টোয়েন্টি আসরে সিলেটের জার্সি গায়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন জিসান আলম।
৭ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি এবং দুটি হাফ সেঞ্চুরি করে ২৮১ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪০.১৪ এবং স্ট্রাইকরেট ১৫৮.৭৫।
বাংলাদেশি ব্যাটারদের ক্ষেত্রে যেখানে ছক্কা হাঁকানো একটি চ্যালেঞ্জ, সেখানে জিসানের বড় বড় ছক্কা হাঁকানো যেন তার সহজাত দক্ষতা।”
“ছোটবেলা থেকেই ন্যাচারাল ক্রিকেট খেলে আসছেন জিসান। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবা আমাকে সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং করাতেন। এ কারণে ছক্কা মারাটা আমার কাছে স্বাভাবিক। সবাই যেটাকে বড় ছক্কা বলে, সেটা আমার কাছে খুব সাধারণ।’
তার এই সহজাত ক্ষমতাই তাকে এনসিএলে সফল করেছে এবং এবার বিপিএলেও বড় কিছু করার জন্য আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।”
“বিপিএলকে নিজের প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে দেখছেন জিসান। তিনি বলেন, ‘বিপিএল নিজেকে প্রমাণ করার জন্য দারুণ একটি মঞ্চ। আমি চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দিতে। আমার লক্ষ্য সেরা পাঁচ রান সংগ্রাহকের মধ্যে থাকা।’
এনসিএলের দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রাখতে মুখিয়ে আছেন এই ব্যাটার। তার আশা, বিপিএলে একটি স্মরণীয় মৌসুম কাটাতে পারবেন।”
“ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জিসানের মতো তরুণ ব্যাটাররা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নতুন দিক উন্মোচন করতে পারেন।
একজন বিশ্লেষক বলেন, ‘বাংলাদেশে ছক্কা হাঁকানোর দক্ষতা সম্পন্ন ব্যাটার কম। জিসানের পারফরম্যান্স জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার জন্য তার দাবি জোরালো করতে পারে।’
তবে, তাকে ধারাবাহিক পারফর্ম করে যেতে হবে এবং বিপিএলে তার পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
“জিসানের গল্প শুধুই ক্রিকেটের নয়, এটি অনুপ্রেরণারও। তার লক্ষ্য এবং আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উদাহরণ হতে পারে।”