বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের পর্দা উঠছে আজ। উদ্বোধনী দিন অনুষ্ঠিত হবে দুইটি ম্যাচ। প্রথম দিনের টিকিট নিয়ে রোববারই (২৯ ডিসেম্বর) দর্শকদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। পরে সমালোচনার মুখে টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর মধ্যেও বেশ কয়েক জায়গায় টিকিট নিয়ে হট্টগোলের খবর পাওয়া গেছে।

এবার ম্যাচ শুরুর আগেই মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম ও আশেপাশের এলাকা বিক্ষুব্ধ দর্শকরা ভাঙচুর চালিয়েছে। জানা গেছে, বেলা এগারোটা নাগাদ মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন দর্শকরা। খেলা শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশদ্বার ২ নম্বর গেটের বাইরে টিকিট না পাওয়া দর্শকদের উন্মত্ত আচরণে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়েছে।

টিকিট না পেয়ে ২ নম্বর গেট দিয়ে মূল গেটে প্রবেশ করার চেষ্টা চালায় দর্শকরা। এক পর্যায়ে গেটের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা।

উত্তেজক দর্শকদের থামাতে পুলিশ প্রথমে বাধা প্রদান করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। তাতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিশৃঙ্খল জনতা।

উদ্বোধনী মুখোমুখি হয়েছে ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহী। দর্শকদের বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়েছিল দুই দলের টিম বাসও। কেননা যে গেট দিয়ে প্রতিযোগী দল মাঠে প্রবেশ করে, সেখানেই ঘটেছে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা। হয়তো গেট ভাঙার ঘটনার আরও আধ ঘণ্টা আগে ঘটতে পারতো। তাতে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাও হতে পারতো বিঘ্নিত।

খেলার মাঠে দর্শকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ নতুন নয়। বরং নিত্য দিনের ঘটনা। তবে টিকিট কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে স্টেডিয়ামের প্রধান প্রবেশদ্বার ভেঙে ঢোকার চেষ্টা আগে কখনো চোখে পড়েনি। বিষয়টা অনেকেরই চোখে লেগেছে। বিপিএলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ।

news