খুলনার বিরুদ্ধে পেরে উঠলো না চিটাগং কিংস। জয়ের লক্ষ্যে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়েও তারা অনেক ব্যবধানেই হেরে গেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিটাগং কিংসকে ৩৭ রানে হারিয়েছে খুলনা। দুর্দান্ত জয় দিয়ে বিপিএলের শুরুটা করলো মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
টস জিতে খুলনাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চিটাগং। মোহাম্মদ মিঠুনের লক্ষ্যটা ছিল পরিস্কার, যতটা কম রানে সম্ভব মেহেদী হাসান মিরাজের দলকে আটকে দেওয়া। কিন্তু মাঠের খেলায় ঘটেছে তার ভিন্ন। খুলনাকে দারুণ শুরু এনে দেন নাঈম শেখ। ১৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তবে আরেক ওপেনার বসিস্তো করেছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। শুরুতে চিটাগংয়ের বোলারদের দেখেশুনে খেলেছেন অজি এ ব্যাটার। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন বসিস্তো। ৩৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ডানহাতি এ ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন বসিস্তো।
তিনে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেননি মিরাজ। ১৮ বলে ১৮ রান করে ফিরেছেন খুলনা অধিনায়ক। ইবরাহিম জাদরান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
তবে শেষের দিকে ঝড় তোলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। মাত্র ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন ডানহাতি এ ব্যাটার। আর তাতেই বাংলাদেশিদের মধ্যে বিপিএলের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেছেন আলিস আল ইসলাম। ২টি উইকেট শিকার করতে খালেদ আহমেদ দিয়েছেন ৪৫ রান।
রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে চিটাগং। প্রথম ওভারেই ওশানে থমাস চারটি নো বল করলেও তার ফায়দা তুলতে পারেনি বন্দর নগরীর দলটির ব্যাটাররা। নাঈম ইসলাম-পারভেজ হোসেন ইমন শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস খেলতে না পারার হতাশা নিয়ে ফিরেছেন। উসমান খানও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে।
মোহাম্মদ মিঠুন, হায়দার আলী ও থমাস ও’কনেল ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরেই। তবে চিটাগংকে ম্যাচে রেখেছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। খুলনার বোলারদের ওপর তান্ডব চালিয়েছেন তিনি। ৩৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন শামীম। যা শুধুমাত্র চিটাগংয়ের হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।
খুলনার হয়ে ৩.৫ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন আবু হায়দার রনি।
![news](https://nbs24.org/walton-ads-april.gif)
![](https://www.nbs24.org/nbs-4-12-22.jpg)
![](https://www.nbs24.org/all-paper-ads.jpg)