পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বিরাট প্রত্যাশার বিপরীতে দলটি মাত্র ৫ দিনের মধ্যে বিদায়ের সঙ্কট মোকাবিলা করে। ২৯ বছর পর আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্বপ্নের মঞ্চে পাকিস্তান, প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত হয়ে বিদায়ের দোরগোড়ায় ধসে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমের শাস্তি ঝড়ে পড়তে থাকলেও, দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলেবন্দি থেকে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বর্তমান বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক পাকিস্তানের বিদায় মেনে নিতে অস্বীকার করে, তিনি পিসিবি কর্মকর্তাদের ওপর তীব্র সমালোচনা ছোঁড়েন। ইমরান খান বোর্ডের প্রধান মহসিন নাকভির ক্রিকেট অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন, "যদি পছন্দের লোকজনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়, তাহলে শেষপর্যন্ত আমাদের ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাবে।" তাঁর বোন আলিমা খানও এই বক্তব্যকে সমর্থন করে, সতর্ক করে দেন যে ভুল হাতে ক্ষমতা দিলে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ১৪ বছরের কারাদণ্ড কাটছে ইমরান খান, দুর্নীতির মামলায় তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্দী করা হয়েছে। তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে তিনি, জেলে থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ঘটে যাওয়া এই ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে পিসিবি-এর অসামঞ্জস্য ও অসদুপায় ব্যবস্থাপনাকে কঠোরভাবে নিন্দা করেন।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ঘরের মাঠের আসরে বাবর-রিজওয়ানরা গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে মাত্র নিয়মরক্ষার প্রদর্শনে দলটির দুর্বলতা স্পষ্ট হয়। ইমরান খান বলেন, "বোর্ডের এই অসহযোগিতা ও দায়িত্বহীনতা দেখলে স্পষ্ট, ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ আমাদের হাতে নেই।"
এই তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা থেকে প্রকাশ পায় পাকিস্তানের ক্রিকেট ব্যবস্থাপনার প্রতি গভীর অসন্তোষ, যা আগামী দিনগুলিতে আরও প্রতিফলিত হতে পারে।


