বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর প্রেমের টানে ধর্ম পরিবর্তন করেন ব্রিটিশ কন্যা অলিভিয়া। ২০১৭ সালে তারা বিয়ে করেন, যা ছিল ভালোবাসা ও সংস্কৃতির এক অনন্য মেলবন্ধন।
প্রেম থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত

হামজার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর অলিভিয়াকে একদিন বাসায় ডাকেন তার বাবা মোরশেদ চৌধুরী। সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন— "আমরা মুসলমান, হামজাকে বিয়ে করতে চাইলে তোমাকে ইসলাম গ্রহণ করতে হবে।"

প্রথমে খানিকটা দ্বিধায় ছিলেন অলিভিয়া। তার পরিবারও আপত্তি তুলেছিল। তবে ধীরে ধীরে ইসলামের নিয়মকানুন বুঝতে শুরু করেন তিনি। অবশেষে পরিবারকে না জানিয়েই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
নতুন জীবনের শুরু, ইসলামি জীবনযাত্রা গ্রহণ

বিয়ের পর ধীরে ধীরে ইসলামের প্রতি গভীর অনুরাগ গড়ে ওঠে অলিভিয়ার। আজ তিনি নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন, এবং ইসলামী অনুশাসন মেনে চলেন। এমনকি পাশ্চাত্যের পোশাক পরিবর্তন করেও ইসলামি পোশাক গ্রহণ করেছেন। পরে তার পরিবারও এই বিয়ে মেনে নেয় এবং হারাম-হালাল খাবার সম্পর্কেও সচেতন হয়।
সংসার, সন্তান ও সামাজিক অবদান

হামজা-অলিভিয়ার সংসারে এখন তিন সন্তান— কন্যা দেওয়ান এনায়া হুসাইন চৌধুরী এবং দুই পুত্র দেওয়ান ঈসা হুসাইন চৌধুরী ও দেওয়ান ইউনুস হুসাইন চৌধুরী। হামজা নিজেই নবীর নামে তাদের নাম রেখেছেন।

শুধু তাই নয়, অলিভিয়া এখন বাংলাদেশে এতিমখানা ও মাদ্রাসার জন্য অর্থ সহায়তা করেন। হামজার পৈতৃক বাড়িতেই "দেওয়ান ঈসা হুসাইন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা" প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা ২০২২ সালে চালু হয়।

ভালোবাসা, সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের অপূর্ব এই গল্প হামজা-অলিভিয়া দম্পতির জীবনকে করেছে অনন্য!

news