বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এখন একেবারেই আড়ালে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন এবং সম্প্রতি ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে এখন, বিসিবির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাপনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সাল থেকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা পাপন, গত জানুয়ারিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তবে, গত বছর আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনি বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরে যান।
দুদক সম্প্রতি পাপনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে। গত ১৬ মার্চ, আদালত পাপনের পরিবারসহ তার ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন এবং একই দিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দেন। দুদকের পক্ষ থেকে উপপরিচালক সাইদুজ্জামান দেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য আবেদন করেছিলেন।
এখন পাপন এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে তার দেশত্যাগে রুখে দাঁড়ানো হয়েছে, আর সেই সঙ্গে দুদকও তদন্ত শুরু করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি বিতর্কিত অধ্যায় হয়তো এবার সমাপ্তি হতে চলেছে।


