অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ পেসার পিটার সিডল অবশেষে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এই গতি তারকা গত কয়েক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের দাপট দেখিয়ে গেছেন। আর ৪০ বছর বয়সে এসে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের শেষ অধ্যায়টাও রাঙিয়ে গেলেন ৭ উইকেট শিকার করে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পার্থের ওয়াকায় ভিক্টোরিয়ার হয়ে নিজের শেষ ম্যাচ খেলেন সিডল। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে দলকে ৩৪ রানের জয় এনে দেন। দীর্ঘ ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে ২৩১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার মোট শিকার ৭৯২ উইকেট।
২০০৮ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে টেস্ট অভিষেকের পর সিডল হয়ে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের নির্ভরযোগ্য সৈনিক। ৬৭ টেস্টে ২২১ উইকেট নেওয়া এই পেসার ৮ বার ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে নিজের জন্মদিনে হ্যাটট্রিক করে জায়গা করে নেন ইতিহাসের পাতায়।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে গেছেন শেফিল্ড শিল্ডেও। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৩৩২ উইকেট নিয়ে তিনি সেরা ১৫ উইকেট শিকারির একজন। এবারের মৌসুমে ৫ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এখনও তার গতির ধার কমেনি।
বিগ ব্যাশেও তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে ১২ উইকেট নেন, ওভারপ্রতি রান দেন মাত্র ৮। আর ঘরোয়া ওয়ানডে কাপে ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে হন আসরের সেরা বোলার।
লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বললেও পিটার সিডল প্রমাণ করে গেলেন, বয়স শুধু একটা সংখ্যা মাত্র!


