বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম তারকা ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলায় সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এই নির্দেশ দেন।

এর আগে, ১৯ জানুয়ারি আদালত সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তিনি হাজির হননি। ফলে বাদীপক্ষ সম্পদ ক্রোকের আবেদন করলে আদালত সেটি মঞ্জুর করে। মামলার অপর দুই আসামি জামিনে থাকলেও সাকিব আদালতে উপস্থিত না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মামলার নথি অনুযায়ী, সাকিবের মালিকানাধীন একটি অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসার জন্য আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় এবং এর বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে। তবে ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক দুটি ডিজঅনার হয়, যার মোট পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

ব্যাংকের পক্ষ থেকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আদালতে হাজির না হলে পরবর্তী ধাপে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সম্ভাবনাও রয়েছে।

এদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব। অভ্যুত্থানকালীন একটি হত্যা মামলায় তার নাম জড়ানো ছাড়াও শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ক্রিকেট ক্যারিয়ারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজ থেকে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

news