ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তবে তার মৃত্যু ঘিরে রহস্য এখনো কাটেনি। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা চললেও এবার নতুন মোড় নিয়েছে বিষয়টি। আদালতে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ম্যারাডোনার সাবেক দেহরক্ষী হুলিও সিজার কোরেয়া।

আর্জেন্টিনার আদালত নির্দেশ দেয়, হুলিও মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন কি না, তা তদন্ত করতে হবে। তদন্তের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, ম্যারাডোনার হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যারা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হুলিও। তবে আদালতে দেওয়া তার সাক্ষ্যের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে হুলিও দাবি করেন, তিনি যখন ম্যারাডোনার কক্ষে প্রবেশ করেন, তখন নার্স গিসেলা মাদ্রিদ ও মনোবিদ অগাস্তিনা কোসাচভ সিপিআর দিচ্ছিলেন। এছাড়া, মনোবিদ কোসাচভ নাকি ম্যারাডোনার মুখে মুখ লাগিয়ে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। অথচ, এই দুইজনই মামলার আসামি!

এরপর তদন্তে উঠে আসে নতুন তথ্য। হুলিও দাবি করেছিলেন, তিনি নিউরোসার্জন লিওপোল্ড লুকুর সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা দেখেছেন, তাদের মধ্যে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তারা অনেকবার যোগাযোগ করেছেন। আদালত এ বিষয়ে সতর্ক করে হুলিওকে।

এদিকে, ম্যারাডোনার মেয়ে জানা আদালতে জানিয়েছেন, তার বাবাকে হাসপাতালে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু হুলিও ও লুকুর পরামর্শে ‘হোম হসপিটালাইজেশন’-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৮ থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ফুটবল বিশ্বের চোখ এখন এই মামলার পরবর্তী মোড়ের দিকে!

news