হারের পরেই ফুটবলপ্রেমীদের বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্সের রাজপথ
বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইবেকারে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যাওয়ার পর খেলোয়াড়দের সান্তনা দিতে মাঠে নামেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন। অনেকের মতে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই ফাইনাল খেলাটিই সর্বশ্রেষ্ঠ। এই খেলায় ফ্রান্স দুই দফায় হারতে হারতে উঠে এসেছিল। একটি হলো খেলাকে অতিরিক্ত সময়ের দিকে গড়িয়ে দেওয়া এবং দ্বিতীয়টি হলো খেলাকে টাইবেকার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া।
১২০ মিনিটেও খেলার ফলাফল নির্ধারিত না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয় ফ্রান্স। ইতিহাস তৈরি করতে করতেও শেষ মুহূর্তে স্বপ্নভঙ্গ ঘটলো ফ্রান্সের। এমবাপ্পের দুরন্ত হ্যাট্রিকের পরেও বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যেতে হলো গেল বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। কিন্তু এত কাছাকাছি গিয়েও কাপ অধরা থেকে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি ফরাসি সমর্থকরা।
রোববার রাতে সমর্থকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে প্যারিস, লিওন সহ অন্যান্য শহরের রাজপথ। সাধারণ মানুষের গাড়ি আটকে আক্রমণ করতে দেখা যায় উত্তেজিত সমর্থকদের। বিক্ষোভকারীদের সরাতে রাস্তায় নামতে হয় পুলিশকে। লাঠিচার্জ করার পরেও কাজ না হওয়ায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। আতঙ্কে গাড়ি নিয়ে পালাতে শুরু করেন পথচারীরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট খেলা দেখতে কাতার মাঠে উপস্থিত হলেও ফাইনাল ম্যাচ দেখার জন্য শহরের কোথাও জায়ান্ট স্ক্রিন বসানোর অনুমতি দেয়নি ফ্রান্স প্রশাসন। ফলে রাজপথে কিংবা অন্য পাবলিক প্লেসে জটলা করে বড় পর্দায় বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে নিজেদের দেশের খেলা দেখার সুযোগ পাননি ফরাসি ফুটবলপ্রেমীরা। যদিও দেশজুড়ে বিভিন্ন ক্যাফে-রেস্তোরাঁ, বার-পাবে ভিড় করে খেলা দেখেছেন তারা। কিন্তু তারপরেও হেরে গেছে প্রিয় দেশ। স্বপ্ন ভাঙার যন্ত্রণায় এখন আচ্ছন্ন ফ্রান্সের সমর্থকরা।
বিএস/ওডে/সি


