মেসির পরামর্শে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবে সুয়ারেজ

 বয়সটা তার ৩৬ ছুঁইছুঁই। এই বয়সে অনেক ফুটবলারই ক্যারিয়ারের ইতি টেনে বুট জোড়া তুলে রাখেন। কিন্তু ব্যতিক্রমের তালিকাটাও নেহায়েত কম নয় তা আর বলার উপেক্ষা রাখে না। এবার উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজও বুড়ো বয়সে সেই চ্যালেঞ্জ লুফে নিলেন। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বন্ধু লিওনেল মেসির পরামর্শে যোগ দিলেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব গ্রেমিওতে।

গ্রেমিওর ঘরের মাঠে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে সুয়ারেজকে পরিচয় করিয়ে দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্যারিয়ারের অন্তিমলগ্নেও এমন অভ্যর্থনা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এক সময়ে আয়াক্স, লিভারপুল, বার্সেলোনা মাতানো এই ফরোয়ার্ড এমন অভ্যর্থনা প্রত্যাশাই করেননি।

স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়ার পর আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। সেই ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর গত বছর স্বদেশী ক্লাব নাসিওনালে যোগ দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। ক্লাবটিকে লিগের চ্যাম্পিয়ন বানানোর পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই স্ট্রাইকার।

গ্রেমিওতে যোগ দিয়ে উরুগুইয়ান এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘চরিত্র, বন্ধুত্ব, জয় এবং গোল— আমি এই সবকিছু সমর্থকদের কাছে প্রতিজ্ঞা করলাম। ৩৬ বছর বয়সেও যে খেলতে পারি, তা দেখানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে গ্রেমিওতে যোগ দিলাম। কারণ, আমি এটাই করতে পছন্দ করি।’

ব্রাজিলিয়ান ক্লাবে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে সুয়ারেজ বলেন, ‘বন্ধু লিওনেল মেসি এবং লুকাস লেইভা (লিভারপুলে সুয়ারেজের সাবেক সতীর্থ ও বর্তমানে গ্রেমিওতেই খেলেন) আমাকে এখানে খেলার পরামর্শ দিয়েছে। বন্ধুরা তো এরকমই যারা কি না নিজের সিদ্ধান্তের পাশে থাকবে।’

ক্যারিয়ারের একদম শেষ সময়ে হাঁটছেন সুয়ারেজ। আগে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করলেও, এখন সেই ধার আর নেই। তবে দলের প্রতি নিবেদনে কোনো কমতি রাখতে চান না এই ফরোয়ার্ড। তাই নিজে যদি গোল নাও করতে পারেন, তাহলে সতীর্থদের গোলের সুযোগ তৈরি করে দিতে বদ্ধ পরিকর এই তারকা ফুটবলার।

এনবিএস/ওডে/সি

news