বিপিএলের নবম আসর শুরু আজ
ছয়টি দল নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (বিপিএল) নবম আসর আজ শুক্রবার মাঠে গড়াচ্ছে। মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স এবং সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স পরস্পরের মুখোমুখি হবে।
বিপিএলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে বার বার সমালোচিত হয়েছে বিসিবি। নাম, রং, লোগো আর মোড়কে বারবার বদলেছে বিপিএল। আইপিএলের ৪ বছর পর বিপিএলের আত্মপ্রকাশ। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের প্রায় সমসাময়িক।
পিএসএল-এর চার বছর আগে। অনেক স্বপ্ন আর সম্ভাবনার গল্প নিয়ে ২০১২ সালে গড়ায় প্রথম আসর। যুগ পেরিয়ে গেলেও এ টুর্নামেন্টটি বিশ্বের অন্যতম অপরিকল্পিত আর জোড়াতালির টুর্নামেন্ট হয়েই আছে।
প্রতি বছর বিপিএল হলে এবারের আসরটি হবার কথা ছিল ১২তম। তবে ফিক্সিংয়ের থাবায় ২০১৪ আর করোনার অজুহাতে ২০ আর ২১ সালের আসর হারিয়ে যায়।
আগের আট আসরের সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৩ বারের চ্যাম্পিয়ন তারা। সবশেষ আসরেও কুমিল্লা সেরা। ঢাকাও সমান চ্যাম্পিয়ন। তবে দুটি ভিন্ন নামে। গ্ল্যাডিয়েটর্স দুবার আর একবার ডায়ইমাইটস। এবার খেলছে ঢাকা ডমিনেটরস নামে। একবার করে শিরোপা জিতেছে রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী রয়্যালস।
নয় আসরে বারবার দলের নাম বদলেছে, কোনো নামই স্থায়ী হয়নি। সবচেয়ে বেশি ছয়বার নাম বদলেছে সিলেটের। রয়্যালস, সানরাইজার্স, থান্ডারস, সুপারস্টারস, সিক্সারস হয়ে এবার স্ট্রাইকার্স। ব্যতিক্রম কেবল কুমিল্লা। বিভাগ না হয়েও যারা খেলছে এই আসরে।
বিপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর রংপুর রাইডার্সের। ২০১৯ সালে ২৩৯ রান করেছিলো তারা। আর সর্বনিম্ম ৪৪ রান করে খুলনা টাইগার্স। মজার ব্যপার হলো, বিপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ রানের প্রথম ছয়টি হয়েছে চট্টগ্রামে। আর সর্বনিম্ন ছয়টি মিরপুর স্টেডিয়ামে।
ব্যক্তিগত সাফল্যে এগিয়ে দেশের দুই শীর্ষ তারকা। সবচেয়ে বেশি রান তামিম ইকবালের। ৭৯ ম্যাচে করেছেন ২৬২৮ রান। আর বল হাতে রাজত্ব করেছেন সাকিব আল হাসান। ৮৭ ম্যাচে ১২২ উইকেট সুপার সাকিবের।
সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করেছেন ক্রিস গেইল ৫টি। বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ১৪৩টি ছয় হাঁকিয়েছেন এ ইউনিভার্স বস।
এখন পর্যন্ত ছয়টি হ্যাটট্রিক হয়েছে বিপিএলে। যার তিনটি বাংলাদেশি বোলারদের কীর্তি। তালিকায় আছেন আল আমিন হোসেন, আলিস ইসলাম ও সবশেষ আসরে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
এনবিএস/ওডে/সি