গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লি ট্রাভেল ডকুমেন্টস (টিডি) দেওয়ায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হবে না বলে মন্তব্য করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

আজ (শনিবার) বিকেলে নরসিংদী সেবা সংঘে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। তৌহিদ হোসেন বলেন, 'ট্রাভেল ডকুমেন্টস যেকোনো দেশ ইস্যু করতে পারে। আমাদের ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। কোনো মামলায় যদি তাকে (হাসিনা) আদালত হাজির করতে নির্দেশ দেন, তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'


শেখ হাসিনা
তিনি আরও বলেন, 'ভারতের সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয়ে অস্বস্তি ছিল, সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবো। আমাদের মধ্যে বিদ্যমান যে সম্পর্ক আছে, সেটা বজায় থাকবে। সম্পর্ক উন্নয়ন উভয়েরই দরকার। ভারতের যেমন আমাদের দরকার, তেমনি আমাদেরও তাদের (ভারতের) দরকার।'

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার অফিশিয়াল বা ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। ফলে এখন যদি ভারত থেকে তৃতীয় কোনো দেশে তিনি যেতে চান, সেই পুরনো পাসপোর্ট কাজ করবে না। দরকার হবে একটি ‘ ট্রাভেল ডকুমেন্ট’  জারি করার, আর ভারত সরকার ঠিক সেটাই করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টিডি ভারত সরকারের জারি করা একটি বিশেষ ধরনের ‘পরিচয়পত্র’; যা দিয়ে বিদেশ সফরও করা যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এতে ভিসাও দিয়ে থাকে। এর পোশাকি নাম হলো ‘আইডেন্টিটি সার্টিফিকেট’ বা আইসি। ভারতের সাধারণ পাসপোর্ট গাঢ় নীল রঙের হলেও আইসি সাধারণত হলুদ রঙের একটি বুকলেটের আকারে জারি করা হয়। যদিও ভারত সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো ঘোষণা দেয়নি।

পার্সটুডে

news