গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটর অজয় কুমার সাহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই ব্যবসায়ীকে গত ৬ এপ্রিল হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, অজয় সাহার প্রতিষ্ঠান 'পুষ্প ইলেকট্রনিক্স' ২০১৩ সাল থেকে মার্সেলের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিত। হিসাব বলছে, ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য তিনি বিক্রি করেছেন, কিন্তু কোম্পানিকে টাকা দেননি। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও টাকা না দেওয়ায় গত ২৬ মার্চ কালিয়াকৈর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মার্সেল কর্তৃপক্ষ।
টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য অজয় সাহা উল্টো কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছিলেন! কিন্তু আদালত তাঁর এই ফন্দিবাজি ধরেই ফেলেন। বিচারক অভিযোগের কোন ভিত্তি না পেয়ে মামলা খারিজ করে দেন।
মার্সেলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করেছি, কিন্তু এখন আর নয়। প্রতিটি অসাধু ডিলারকে আইনের আওতায় আনা হবে।"
বাজার সূত্রে জানা গেছে, শুধু অজয় সাহাই নন, আরও কয়েকজন ডিলার একই পদ্ধতিতে কোটি কোটি টাকা আটকে রেখেছেন। মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খুব শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই গ্রেফতারের পর ইলেকট্রিক্যাল মার্কেটে এখন তোলপাড় চলছে। অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, "এতদিন পর হলেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলো।" দেখা যাক, এই ঘটনা অন্য অসাধু ডিলারদের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়ায় কিনা!
মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ে মার্সেলের কাছ থেকে বাকিতে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য নেন গাজীপুর সদরের ভবানীপুরে মার্সেলের পরিবেশক ‘পুষ্প ইলেকট্রনিক্স’ এর সত্ত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা। দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উক্ত অর্থ পরিশোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে গত ২৬ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কালিয়াকৈর থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়। মামলা নং- ৫৩। উক্ত মামলায় গত ৬ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে গ্রেফতার হন অজয় সাহা।


