আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে ওয়ালটন পরিবারের শোক
খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, কূটনীতিক, লেখক ও বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওয়ালটন পরিবার। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র বোর্ড অব ডিরেক্টরস।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে (আজাদ মসজিদ) আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজায় অংশ নেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। এসময় তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান প্রমুখ। তারা মরহুমের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এক শোক বার্তায় ওয়ালটন হাই-টেকের সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, যার নাম শুনতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখকের চেহারা। তিনি স্বীয় কর্মগুণে নিজের জীবনকে করেছেন বর্ণিল ও সাফল্যমন্ডিত। দেশের অর্থনীতিকে ঊর্ধ্বমুখী রাখার পেছনে যার অবদান অসামান্য। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। তার পারলৌকিক জীবনের শান্তি কামনা করি।’
গতকাল শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে আবুল মাল আবদুল মুহিত মারা যান। মৃত্যুকালে আবদুল মুহিতের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বাজেট ঘোষণা করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাংলাদেশের উন্মেষ ও রূপান্তরের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মুহিত সরকারি কর্মকর্তার সর্বোচ্চ পদ সচিব, মন্ত্রী, অর্থনীতিবিদ, ক‚টনীতিক, লেখক, গবেষক, পরিবেশবিদ ইত্যাদি নানা পরিচয়ে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে রেখেছেন গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। তার অবদান জাতি দীর্ঘকাল কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণে রাখবে। বহুমাত্রিক প্রতিভায় সমৃদ্ধ আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।


