বাইডেন-শুলজের চীনের বিরুদ্ধে অবরোধের হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জার্মান চেন্সেলার ওলাফ শুলজ ইউক্রেনে হামলা যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর চড়ামূল্যের অবরোধ আরোপ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা বলেছেন, চীন যদি রাশিয়াকে কোন ধরণের অস্ত্র সরবরাহ করে তাহলে তা বেইজিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথ প্রশস্ত করবে।

গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে বাইজেন ও শুলজ এক বৈঠকে মিলিত হন। ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে ৪০ কোটি ডলারের নতুন সামরিক প্যাকেজ ঘোষণার পর দু’নেতার মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে গোলাবারুদ ও ট্যাংক ও সাঁজোয়াযান পারাপারের কৌশলগত সেতু। ইউক্রেনের বসন্তকালীন অভিযানে সহায়তা করার কথা চিন্তা করে এসব অস্ত্রশস্ত্র দেশটিকে দেয়ার ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনে নতুন হামলা শুরু করবে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মান নেতার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো। ওয়াশংটনের কর্মকর্তারা জানান যে, যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং চীন যদি রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দান করে তাহলে দেশটির বিরুদ্ধে কি ধরণের পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ তা নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেছেন এ বৈঠকে।

গত শুক্রবার ওভাল অফিসে শুলজের পাশে বসে বাইডেন জার্মানির সামরিক ব্যয় দ্রুত বাড়ানো এবং রাশিয়ার বাইরে জ্বালানিখাতকে বহুমুখী করার শুলজের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তারা বলেন, অন্যান্য মিত্রদের সাথে মিলে তারা ইউক্রেনের সমর্থনে এক সাথে মিলে কাজ করবেন।

বাইজেন বলেন, “ন্যাটো মিত্র হিসেবে আমরা জোটকে আরো শক্তিশালী করছি।” শুলজ বলেন, “যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন পর্যন্ত” মিত্ররা কিয়েভকে সমর্থন দিয়ে যাবে।

চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের কোন ইচ্ছে থাকার কথা অস্বীকার  করা সত্ত্বেও ওয়াশিংটন মিত্রদের সাথে বেইজিং ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করলে দেশটির ওপর সম্ভাব্য অবরোধ আরোপের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে বলে জানায় রয়টার্স ।

সাম্প্রতি সপ্তাহগুলোতে ওয়াশিংটন দাবি করে যে চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার কথা ভাবছে, কিংবা  সরবরাহ শুরু হয়েছে। যদিও তারা এ ব্যাপারে কোন তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি।

বাইডেন-শুলজ বৈঠকের আগে  হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন যে, “আমরা এখনো দেখতে পাইনি যে, চীন মারণাস্ত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু সরবরাহ করেছে। তিনি বলেন, “চীন রাশিয়ার পক্ষে যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তার প্রতিটি ইউরোপ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বেইজিংয়ের সম্পর্ককে কঠোরতর করে তুলছে।”

ইইউ’র  একজন সিনিয়র কর্মকর্তা শুক্রবার এক পৃথক ব্রিফিংয়ে বলেন, “বেইজিংয়ের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ নিশ্চিত রেড লাইন। ইইউ এর জবাবে চীনের ওপর অবরোধ আরোপ করবে।
জার্মানি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে চীনের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। চীন হচ্ছে জার্মানির শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশিদার। বৃহস্পতিবার শুলজ রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার বিরুদ্ধে চীনের প্রতি এক কড়া হুঁশিয়ারি জানান।

এ ছাড়া তিনি ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারে মস্কোকে চাপ দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জাানান। বাইডেনের সাথে বৈঠকের আগে জার্মান পার্লামেন্টে ভাষণে শুলজ বলেন,“আগ্রাসী রাশিয়াকে কোন অস্ত্র দিবেন না।

এনবিএস/ওডে/সি

news