ওয়াশিংটনে আবারও পেন্টাগনের গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপক ও বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি সিগন্যাল চ্যাটে পরিবার ও সহকর্মীদের সঙ্গে সংবেদনশীল সামরিক তথ্য শেয়ার করেছেন। এর আগেও একই ধরনের একটি ঘটনায় তিনি বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন, যখন একটি অপারেশনাল প্ল্যানের বিবরণ চ্যাটগ্রুপে ফাঁস হয়—যেখানে আটলান্টিকের সাংবাদিক জেফ্রি গোল্ডবার্গও ছিলেন ভুলবশত যোগ হয়ে!
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হেগসেথকে সমর্থন করে বলেছেন, তিনি "দারুণ কাজ করছেন" এবং এগুলো শুধু "অসন্তুষ্ট কর্মীদের" ষড়যন্ত্র। হোয়াইট হাউসও একই সুরে কথা বলেছে, এটিকে "বদলানোর বিরোধিতা" বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সাবেক পেন্টাগন মুখপাত্র জন আলিয়ট পলিটিকোতে একটি কলামে লিখেছেন, এখানে "পূর্ণাঙ্গ ধস" চলছে এবং হেগসেথের চাকরি যেতে পারে।
হেগসেথ নিজেকে বাঁচাতে বলেছেন, "এগুলো মিডিয়ার ষড়যন্ত্র। রাশিয়া কেলেঙ্কারির সময়ও একই মিডিয়া মিথ্যা ছড়িয়েছিল।" তবে সমস্যা হলো, তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে। সামরিক অভিজ্ঞতা থাকলেও বড় প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিজ্ঞতা তার কম। গত কয়েক সপ্তাহে পেন্টাগনে একের পর এক কর্মী বরখাস্ত, গোপন নথি ফাঁস—এসব নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অপারেশনের আগেই পরিকল্পনার তথ্য চ্যাটে শেয়ার করা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো, ট্রাম্প যদি হেগসেথকে নিয়ে অনড় থাকেন, তাহলে কি পেন্টাগনের এই অস্থিরতা কমবে? নাকি জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সমর্থন থাকলেও কংগ্রেস ও সেনাবাহিনীর চাপে হেগসেথের পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। খবর এনডিভির
#পেন্টাগন_বিতর্ক #গোপন_তথ্য_ফাঁস #ট্রাম্প_প্রশাসন #হেগসেথ #রাজনৈতিক_অস্থিরতা


