ওয়াশিংটনে তোলপাড় শুরু হয়েছে পেন্টাগন প্রধান পিট হেগসেথের গোপন সামরিক তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হেগসেথ মার্চ মাসে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলার সংবেদনশীল তথ্য তার ব্যক্তিগত সিগন্যাল চ্যাটগ্রুপে শেয়ার করেছেন—যেখানে তার স্ত্রী, ভাই ও ব্যক্তিগত আইনজীবীসহ অন্তরঙ্গ ব্যক্তিরা ছিলেন!

এই চ্যাটগ্রুপের নাম ছিল "ডিফেন্স | টিম হাডল", যা হেগসেথ তার ব্যক্তিগত ফোন দিয়ে জানুয়ারিতে তৈরি করেছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি এতে F/A-18 হর্নেট যুদ্ধবিমানের ফ্লাইট শিডিউলের মতো গোপন তথ্যও শেয়ার করেছেন। এর আগেও গত মাসে আটলান্টিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছিল যে, হেগসেথ ভুলবশত আরেকটি চ্যাটগ্রুপে একজন সাংবাদিককে যোগ করে ফেলেছিলেন, যেখানে ইয়েমেন অপারেশনের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল।

এখন NPR-এর একটি খবরে বলা হচ্ছে, হোয়াইট হাউস গোপনে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর খোঁজ শুরু করেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই রিপোর্টকে "ফেক নিউজ" বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটও একই সুরে টুইট করেছেন, "এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা খবর। প্রেসিডেন্ট হেগসেথকে পুরোপুরি সমর্থন করেন।"

কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন বারবার হেগসেথের নাম জড়াচ্ছে গোপন তথ্য ফাঁসের কেলেঙ্কারিতে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফক্স নিউজের সাবেক এই উপস্থাপকের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা কম, আর তিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অনেকেই তাকে "পদোন্নতিতে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া ব্যক্তি" বলে সমালোচনা করেন। পেন্টাগনের ভেতরেও তার নীতিকে অনেকে বিতর্কিত মনে করেন।

এদিকে, ডেমোক্র্যাট নেতারা এই ঘটনাকে "জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি" বলে চিহ্নিত করে হেগসেথের অপসারণ দাবি করছেন। কংগ্রেসে শুনানিরও পরিকল্পনা চলছে। এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্পের সমর্থন সত্ত্বেও কি হেগসেথ টিকতে পারবেন, নাকি নতুন মুখ দেখবে পেন্টাগন?

#পেন্টাগন_কেলেঙ্কারি #হেগসেথ #ট্রাম্প_প্রশাসন #গোপন_তথ্য_ফাঁস #ওয়াশিংটন_অস্থিরতা

news