জর্জিয়ার বিক্ষোভকারীদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন বাল্টিক দেশগুলোর সমর্থন
জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসিতে হাজার হাজার মানুষ “বিদেশি চর” কথিত খসড়া আইনের প্রতিবাদে গত বুধবার পর পর দ্বিতীয় রাতের মতো বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। রুশ ধাঁচের বিতর্কিত এ আইনে বিদেশ থেকে ২০ শতাংশের বেশি বিদেশী অর্থ সংগ্রহকারী এনজিও ও গণমাধ্যমকে ‘বিদেশী চর’ আখ্যায়িত করা হয়েছে।
পার্লমেন্টে আইনটি মঙ্গলবার পাস হওয়ার পরে রাতেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে হাজার হাজার মানুষ। এসময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এেেত ৫০ জন পুলিশ আহত হয় এবং ৬৬ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদেরকে পাথর ছুড়তে ও নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙ্গে ফেলতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা জর্জিয়ার জনগণের পাশে রয়েছে। আর ইউক্রেন বলেছে, ককেশাস দেশ ‘জর্জিয়ায় গণতন্ত্রের সফল হোক’ তা তারা চায়। বাল্টিক দেশ ইস্তোনিয়া, লাতভিয়া ও লিথুনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে জর্জিয়ার খসড়া আইনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে জর্জিয়ার জনগণের গণতান্ত্রিক জীবন ধারার জন্য ক্ষতিকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে তিবলিসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পাটি বলেছে যে, বিলটি ১৯৩০ দশকের যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনের আদলে করা হয়েছে। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সভাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার সীমা লংঘন না করার জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানায়। আইনটির বিরোধিতাকারী বলছেন, সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার কাজে ব্যবহার করতে রাশিয়ার আইনের অনুরূপ এ আইন তৈরি করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আমরা রুশ আইন মানবো না।’ তারা ‘বিদেশী তহবিলের স্বচ্ছতা’ বা ‘বিদেশী প্রভাবের স্বচ্ছতা’ নামের বিলটি বাতিল দাবি করে। জর্র্জিয়ার প্রেসিডেন্ট স্যালোম জোরাবিশভিলি বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আইনটিতে ভেটো দেয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন।
পার্লামেন্ট সদস্য খাতিয়া ডেকানোইদজে বলেন, জর্জিয়ার সুশীল সমাজ বেশ শক্তিশালী যা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করছে। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সহায়তা পেয়ে থাকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর কয়েকদিন পর ইউক্রেন ও মলদোভার সাথে জর্জিয়াও ইইউ সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করে।
এনবিএস/ওডে/সি


