যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকারের সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টর বৈঠকের নিন্দা করল চীন

চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের বৈঠকের নিন্দা করেছে চীন। ক্যালিফোর্নিয়ায় গত বুধবার তারা এ বৈঠক করেন।

চীন ম্যাকার্থির সঙ্গে সাইয়ের বৈঠকের নিন্দা করে একে ‘ষড়যন্ত্রমূলক কাজ’ বলে অভিহিত করে নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ‘কঠোর’ ব্যবস্থা নেয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যকার মারাত্মক বিভ্রান্তিকর গোপন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে সিমি উপত্যকার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন ম্যাকার্থি ও সাই। এটি হল ১৯৭৯ সালের পর কোনো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তা সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে বেশ কয়েক জন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা বৈঠকে যোগদান।

বৈঠকে ম্যাকার্থি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ‘আমেরিকার অন্যতম বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে তিনি গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাকার্থি বলেন, তাইওয়ানকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

গুয়াতেমালা ও বেলিজ সফর শেষে লস অ্যাঞ্জেলেসে যান সাই ইং–ওয়েন। তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরে নাখোশ হয়েছে চীন। চীনের দাবি তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডের অংশ। ‘এক চীন’ নীতির অধীনে একদিন তারা এই অঞ্চলকে নিজেদের সঙ্গে একীভূত করবে। এই নীতির অধীনে কোনো দেশ একসঙ্গে বেইজিং ও তাইপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে না।

মার্কিন প্রশাসন এক চীন নীতি সমর্থন করলেও তাইওয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তাইওয়ানকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন। এমনকি তাইওয়ানের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় অংশই সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র।

এনবিএস/ওডে/সি

news