যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত ওষুধ নিয়ে বিচারকের পাল্টাপাল্টি রায়

যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফেডারেল বিচারক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে গর্ভপাত ওষুধ মাইফপ্রিস্টোনের অনুমোদন বাতিল করে দিয়েছেন। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এ ফেডারেল বিচারককে নিয়োগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  গত ২০ ধরে অধিকাংশ গর্ভপাতের জন্য অনুমোদিত এ ওষুধ ব্যবহৃত হয়ে আসছিলেন দেশটির মহিলারা।

কিন্তু  টেক্সাসের বিচারকের রায়ের মাত্র এক ঘন্টার পর ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা নিযুক্ত আরেকজন বিচারক এর বিপরিত আরেকটি আদেশ জারি করেছেন। তিনি গর্ভপাতের এ ওষুধ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন ধরণের পরিবর্তন না করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের এ দ্বৈত নির্দেশের কারণে বিষয়টি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে। ৬৭ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক ম্যাথিউ কোশমারিক তার নিজের রায়কে ৭ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন যাতে সরকার আপিল করার সুযোগ পায়। তার এ রায়ের কারণে লাখ লাখ মহিলার জন্য এ ওষুধ পাওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়তে পারে। গত বছর মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের সাংবিধানিক সুরক্ষা তুলে নেয়ার পর একের পর এক অঙ্গ রাজ্য তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে।

রায়ে বিচারক ম্যাথিউ কোশমারিক বলেন, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) এ ওষুধ অনুমোদনে কেন্দ্রীয় আইন লংঘিত হয়েছে। কারণ তার নির্দিষ্ট ওষুুধটি তড়িঘড়ি করে অনুমোদন করেছে। ২০০০ সালে এফডিএ মাইফপ্রিস্টোন অনুমোদনের আগে চার বছর ধরে তা পর্যালোচনা করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ রায় যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার গোটা ভিত্তির ওপর মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করেছে।

টেক্সাসের রায়ের মাত্র এক ঘন্টা পর ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের একজন ফেডারেল বিচারক ঠিক উল্টো একটি রায় প্রদান করেন। তিনি ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত ১২টি অঙ্গরাজ্যের বাজারে এ ওষুধ সহজলভ্য করার জন্য এফডিএকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মাইফস্টোন হলো দুটো ওষুধের একাংশ। এটি গর্ভপাতের সুচনা করে ও গর্ভ ধারণ রোধ করে। আর অপর ওষুধ মিসোপ্রোস্টল জরায়ু খালি করে।

এফডিএ জানায় যে, এ ওষুধ ব্যবহারে মোট ২৬ নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ০.৬৫ শতাংশ।

এনবিএস/ওডে/সি

news