এনবিসি’র রিপোর্টার ভন হিলিয়ার্ডকে বিমান থেকে বের করে দিতে বললেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিমানে বসে খোশ মেজাজেই কয়েকজন রিপোর্টারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ এনবিসি’র রিপোর্টার ভন হিলিয়ার্ড তাকে প্রশ্ন করে বসেন তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত নিয়ে তাকে এমন ‘হতাশ’ দেখাচ্ছে কেনো। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ট্রাম্প। তিনি ওই রিপোর্টারকে আর কোনো প্রশ্ন না করার নির্দেশ দেন। তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন ট্রাম্প। এনবিসিকে ‘ফেক নিউজ’ আখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারকে বিমান থেকে বের করে দিতে বলেন ক্ষুব্ধ ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আলভিন ব্রাগের আনা অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করায় গত ২৫ মার্চ এ ঘটনা ঘটে। সেসময় ট্রাম্প টেক্সাসের ওয়াকোতে প্রচারণা সভা করে ফিরছিলেন। ট্রাম্প রিপোর্টার ভন হিলিয়ার্ডকে আর কোনো প্রশ্ন না করার নির্দেশ দেন। বলেন, তোমার সম্পর্কে আমি ভাল বলেই জেনেছিলাম। এখন দেখছি তুমি তা নও। এই ঘটনার একটি অডিও সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে এসেছে।
এতে শোনা যায় ট্রাম্প ওই সাংবাদিককে বলছেন, আমি মোটেই কিছু নিয়ে হতাশ নই। আমি কেনো হতাশ হবো? আমি এই মাত্র দুই ঘণ্টাব্যাপী ভাষণ দিয়ে এসেছি। আপনি যা বলছেন বাস্তবতা তার একদম উল্টো। আপনারা যা করেন তা হচ্ছে ‘ফেক নিউজ’ (ভুয়া সংবাদ)। আর এনবিসি হচ্ছে ভুয়া সংবাদের মধ্যে সবথেকে খারাপ। আমাকে আপনি আর কোনো প্রশ্ন করবেন না। এই ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর হিলিয়ার্ড ট্রাম্পকে আবারও একটি প্রশ্ন করতে চান। কিন্তু ট্রাম্পের রাগ তখনও পড়েনি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলবো না, আপনি ভাল মানুষ নন। এরপরেও হিলিয়ার্ড প্রশ্ন করেই যাচ্ছিলেন। এমন সময় ট্রাম্প রেগে গিয়ে তার সহযোগীদের বলেন, এই লোককে এখান থেকে বের করে দিন। যদিও ট্রাম্পের প্রচারণা মুখপাত্র স্টিভেন চিউং জানান যে, ওই সাংবাদিকের সঙ্গে বিমানে খারাপ কোনো আচরণ করা হয়নি।
ট্রাম্পের সঙ্গে রিপোর্টারের এমন বিতর্কের সংবাদ প্রথম প্রকাশ করে ভ্যানিটি ফেয়ার। অডিও রেকর্ডয়ে ট্রাম্পকে বলতে তার সহযোগিদের উদ্দেশ্যে করে বলতে শোনা যায়, তাকে (ভন হিলিয়ার্ড) এখান থেকে বের করে দাও। চল যাই। তাকে বের করে দাও, বের করে দাও, বের করে দাও। এ পর্যায়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্পের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এনবিএস/ওডে/সি


