গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ আখ্যা ডব্লিউএইচওর

আল-শিফা হাসপাতালে এখনও তিন শতাধিক মানুষ অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম ইসরায়েলি এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও।

এই পরিস্থিতিতে গাজা ভূখণ্ডের বৃহত্তম চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একইসঙ্গে হাসপাতালটিতে এখনও যারা অবস্থান করছেন তাদের সরিয়ে নিতেও অনুরোধ করেছে সংস্থাটি। হাসপাতালটিতে এখনও ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৩২ শিশুসহ ২৯১ জন রোগী রয়েছেন বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

কয়েকদিন আগে আল-শিফা হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এরপর ইসরায়েলি বাহিনী শনিবার এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল থেকে রোগীদের চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়। এরপর হাসপাতালটি প্রায় জনমানবহীন হয়ে পড়ে।

এরপর শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে মানবিক পরিস্থিতি মূল্যায়নকারী একটি দল হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা গাজা ভূখণ্ডের বৃহত্তম এই হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ বলে আখ্যা দেন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, লজিস্টিক অফিসার এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন বিভাগের নিরাপত্তা কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত ওই দলটি হাসপাতালে গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলির দৃশ্যমান নানা লক্ষণও দেখতে পান।

ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত সময়সীমার কারণে দলটি হাসপাতালের ভেতরে মাত্র এক ঘণ্টা অবস্থান করতে সক্ষম হয় এবং এই ঘণ্টার পরিদর্শনেই তারা এই হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ বা ‘মৃত্যু অঞ্চল’ বলে আখ্যা দেন এবং হাসপাতালের পরিস্থিতিকে ‘মৃতপুরি’ বলে বর্ণনা করেন।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তার অভাব এই চিকিৎসাকেন্দ্রটি ‘হাসপাতাল হিসাবে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে কর্মীদের পক্ষে হাসপাতালে কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। করিডোর এবং হাসপাতালের মাঠ চিকিৎসাসহ অন্যান্য বর্জ্যে ভরে গেছে, যা এখানে অবস্থানরতদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিয়েছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news