৫০ জিম্মির বিনিময়ে ১৫০ ফিলিস্তিনির মুক্তির আশা হামাসের
ইসরায়েল সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হলে সেখানকার বিভিন্ন কারাগারে বন্দি এমন সংখ্যক ফিলিস্তিনির মুক্তি আশা করছে হামাস। এই ফিলিস্তিনিদের সবাই নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু-কিশোর। হামাসের হাইকমান্ড গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে ।
গত সপ্তাহে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতার ভিত্তিতে ইসরায়েলের কাছে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কাতারে অবস্থানরত হামাসের হাইকমান্ড। সে প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, যদি ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি, কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, উপত্যকায় ত্রাণপণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে প্রবেশ এবং আহত বেসামরিক লোকদের উপত্যকার বাইরে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণের অনুমতি দেয় তাহলে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৫০ জনকে মুক্তি দেবে তারা।
ইসরায়েল প্রথমে এই প্রস্তাব মানতে চায়নি, তবে সেখানকার জনগণ ও জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের চাপে মঙ্গলবার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অভিযান চালায় তারা। এসময় হামাসের হাতে ১২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায়।
প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন। হামাসের অভিযানের জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে । ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ১৪ হাজার ১০০।
আইডিএফের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস জানিয়েছেন, কারাবন্দি যেসব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, বর্তমানে তার তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা সেইসব ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেবো, যাদের বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ নেই।’ সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি