ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের কবরস্থানে ছুটে গেলেন গাজাবাসি

 দেড় মাস ধরে টানা ইসরায়েলি হামলার কারণে নিহত স্বজনদের কবরে যাওয়ার সুযোগ পাননি গাজাবাসী।
তাই শুক্রবার ৪ দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতি হওয়ার প্রথম সুযোগে তারা নিহত স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে যান।

অনেক ফিলিস্তিনি রাফাহর পশ্চিমে অবস্থিত তেল আল-সুলতান গোরস্তানে গিয়ে স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন। গোরস্তানটিতে ৫০০ মুর্দার লাশ দাফনের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে দাফন করা হয়েছে ৬০০ জনকে। এরা ইসরায়েলি বর্বর হামলা অথবা অবরোধের কারণে ওষুধ ও জ্বালানির অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। জিয়ারতকারীরা স্বজনদের রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেন।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছেলেকে হারিয়েছেন মুনির লাবদা। তিনি আনাদালুকে বলেন, নিহত হওয়ার পর তিনি এই প্রথম তার ছেলের কবর জিয়ারত করার সুযোগ পেলেন। তার পিতা বলেন, ছেলেটি খুবই মেধাবি ছিল, সে কোরআনে হাফেজ ছিল।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় স্ত্রীকে হারিয়েছেন আলী ঈশা। তিনি কবর জিয়ারতে অশ্রুসজল চোখে বলেন, মানবিক যুদ্ধবিরতি শুরুর কথা শোনার পরই তিনি তার কবর জিয়ারতে আসেন। ইসরায়েলি হামলায় আলী ঈশাও আহত হয়েছিলেন।

চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয় শুক্রবার। শেষ হবে সোমবার। এ যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ও ইসরায়েল বন্দিবিনিময় করছে। চুক্তি অনুযায়ী হামাস ৫০ জিম্মিকে এবং ইসরায়েল ১৫০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দী নারী-শিশুকে মুক্তি হবে। এ ছাড়া এ সময় অবরুদ্ধ গাজায় জ্বালানিসহ ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ করতে পারবে।

গত ৭ অক্টোবর স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত গাজার ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে অতর্কিতে অভিযান চালায়। তাদের অভিযানে কয়েকশ’ ইসরায়েলি সেনাসহ ১২০০ জন নিহত হয়।জিম্মি হিসেবে আটক হয় সেনাসহ ২৪২ জন। আর সেইদিন থেকে এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গাজায় বর্বর হামলা ও গণহত্যা শুরু করে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ হাজার ৮৫৪ জন ফিলিস্তিনি। যার মধ্যে শিশু ৬১৫০ জন এবং নারী ৪ হাজারের বেশি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news